পুরাতাত্ত্বিক ঐতিহ্য ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩০-তম বর্ষ।

ছয় ডিসেম্বরঃ ক্যালেন্ডারে একটি কালো দাগ
তমাল সাহা

তুমি একটি মসজিদ ভাঙো
আমি ভাঙবো একশটি মন্দির
তুমি পাল্টা ভাঙবে দুশোটি মসজিদ
আমি আবার ভাঙবো তিনশোটি মন্দির।

ভাঙাভাঙির খেলা চলতেই থাকবে
চক্ষুস্থির–
দেখবে গঙ্গা পদ্মা মেঘনা যমুনা
সরযু সবরমতী তীর।

ভাঙতে ভাঙতে সেটা কত দূর যায়!
এবার রক্তের হোলি খেলা হবে রাস্তায়
তার সঙ্গে দোসর হবে আগুন।
নতুন একটা নদী হবে
তাতে থাকবেনা কোনো জল,
প্রবাহিত শুধু খুন।

দেশ তো মন্দির আর মসজিদে ভর্তি!
কত মন্দির আর মসজিদ ভাঙা যায়?
অনেক মন্দির মসজিদ টিকে যায়
ধর্মের কি তাতে কিছু এসে যায়?

ধর্ম ধর্মের মতোই থাকে।
সব ফেলে আমরা দুই সম্প্রদায়
মেতে উঠি নরহত্যা– দাঙ্গায়।

মানুষ তখন হয় মৃতদেহ নয় লাশ।
কতদিন চলতে থাকবে
ধর্মকে সামনে রেখে এই পৈশাচিক উল্লাস?

তাহলে কি আমাদের এই পরিণতি?
এরপরেও দুটি শব্দ মাথা উঁচিয়ে থাকে,
এদের করা যায়না কোনো ক্ষতি–
সম্প্রীতি ও সংহতি।