অবতক খবর,২২ মার্চ: আজ সকাল থেকেই অবতক নিজস্ব দায়িত্বে মাঠে নেমে পড়েছে। সংবাদকর্মী হিসেবে তার দায়িত্ব রয়েছে জনগণকে সচেতন করারএবং এবং মানুষকে শহরের অবস্থা প্রতিমুহূর্তে জানানো। সেই দায়িত্ব নিয়ে নেমে পড়েছে অবতক খবব ।

শুধু কাঁচরাপাড়া নয়, হালিশহর অর্থাৎ বীজপুর এলাকা জুড়ে।

তার অনুসন্ধানে সে দেখতে পেয়েছে কাঁচরাপাড়ায় ভারত সরকার নির্দেশিত জনতা কার্ফু ৯০ শতাংশ সফল। এই সফলতা বড় কথা নয়, মানুষ যে অন্ততপক্ষে সচেতন হয়েছে, বাস্তবতাকে বুঝতে পেরেছে এটাই পরিলক্ষিত হয়েছে‌। কাঁচরাপাড়া স্টেশনে শুনশান অবস্থা ছিল। সকাল দশটা পর্যন্ত আমরা দেখেছি, লাইভ সম্প্রচার করেছি। একটা ট্রেন আমরা যেতে দেখেছি, কিন্তু প্ল্যাটফর্ম শুনশান। প্ল্যাটফর্মের বাইরে আমরা বেরিয়ে দেখেছি। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ এবং ১ নং ইউনিটের সম্পাদকের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সম্পাদখ কানু মজুমদার আমাদের জানিয়েছেন, শুধু সরকারের ঘোষণা করাটাই যথেষ্ট নয়। আমাদের নিজেদেরও দায়িত্ব রয়েছে। যেহেতু আমি একটি পদে রয়েছি সেই পদের দায়িত্ব নিয়েই আমি শহরের অবস্থা দেখার জন্য বেরিয়েছি। আমার ইউনিট কি অবস্থায় আছে, তারা সরকারি নির্দেশ পালন করেছে কিনা এইসব দেখতে বেরিয়েছি।
অন্যদিকে আরেকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নিউ গুঞ্জনের কর্ণধার বাপি পালও বাজারের অবস্থা দেখতে বেরিয়েছিলেন। তিনিও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জনতা কার্ফু মান্য করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য।

গান্ধী মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে আমরা দেখেছি যে, কবিগুরু রবীন্দ্র পথ একদিকে, অন্যদিকে লেলিন সরণির সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। তবে এটি উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে,সেই হিসেবে দুটি মদের দোকান খোলা ছিল এবং ভিড়ও ছিল। তবে আমাদের সংবাদ সম্প্রচার করার সময় দেখা যায়,একটি দোকান কিছুক্ষণ বেচাকেনা করার পরই বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে প্রধান অঞ্চলের বেশিরভাগ মাংসের দোকানগুলি খোলা এবং মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন। জানিনা এটা তারা ছুটির দিন ভাবছেন কিনা,তারা মাংস কিনতে বেরিয়ে পড়েছেন। গান্ধী মোড়, লিচুবাগান, মিলন নগর,বাগমোড় অঞ্চলে আমাদের ক্যামেরায় এই ছবি ধরা পড়েছে।

ওষুধপত্রের দোকান খোলা রয়েছে কিছু। কারণ আপৎকালীন ওষুধের কিছু দোকান খোলা রাখা উচিত বলে আমরা মনে করি।

আমরা জুটমিল অঞ্চল দেখেছি। জুটমিল অঞ্চলের মানুষ নিরক্ষর মানুষ বলে আমাদের একটা সহজ অবৈজ্ঞানিক ধারণা রয়েছে। এরা মজদুর, এরাও সচেতন, এদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। দেখেছি ওই অঞ্চলের রাস্তাঘাট শুনশান এবং শ্রমিকরা এখানে শিফটের কাজে আসেননি। তারা একথা বলেছন যে এই জনতা কার্ফু পালন করা উচিত। তাদের কাছে আমরা এই কথা শুনতে পেয়েছি। এতে একটা আশাবোধ জেগেছে আমাদের মধ্যে যে মানুষ ক্রমাগত বিজ্ঞান এবং বাস্তব চেতনার দিকে এগোচ্ছে। এটি একটি ভালো লক্ষণ বলে আমরা মনে করি।