অবতক খবর,৫ মার্চ,নদীয়া:- এর আগেও একাধিকবার তৃণমূলের দলীয় অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসলেও ভোটের মধ্যে উচ্চ নেতৃত্ব চাপে সকলেই মতান্তর ভুলে কাজ করেছেন একসাথে। কিন্তু শান্তিপুর শহরের 12 নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলার বাসনা মঠ ছিলেন বিদায়ী বোর্ডের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যা।
তাকে বাদ দিয়ে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৌশিক প্রামানিকে টিকিট দেওয়ার, যদিও কৌশিক বাবু সিপিআইএম দলের হেভিওয়েট প্রার্থী পাশের ওয়ার্ডের তিনবারের কাউন্সিলর সৌমেন মাহাতো কে পরাজিত করতে সমর্থ হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন ওই 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস দাস।
অথচ তার নামে গতকাল রাতে অন্ধকারে ওই ওয়ার্ডের ডাকঘর মোড় তামাচিকা মোড়, এলাকার তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সদস্যরা, মহিলা যুবক তৃণমূল নেতৃত্ব এবং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ওই পোস্টার গুলিতে লেখা আছে শুভাশীষ দাস সিপিআইএম দলের কাছ থেকে টাকা খেয়ে তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক প্রামানিক কে হারানোর চক্রান্ত করেছিল, এমনকি তাকে ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক দল এবং দুশ্চরিত্র আখ্যায়িত করা হয়েছে তলায় অবশ্য 12 নম্বর ওয়ার্ড যুব তৃণমূল কংগ্রেস লেখা আছে।
তাই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা, তারা বিক্ষোভ করে পোস্টার গুলি ঘিরে দাঁড়িয়ে।যদিও ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মিন্টু প্রামানিক বলেন ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব কে জানিয়েছি বিষয়টি তবে দুষ্কৃতীদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবেই বলা হয় দলের একাংশ যুক্ত এর সাথে। এ বিষয়ে জয়ী প্রার্থী কৌশিক প্রামানিক কলকাতায় থাকার কারণে তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিলো, তিনি জানান শান্তিপুর থানা জানানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে দোষীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করেছি। শুভাশিস আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এবারের নির্বাচনে আমাকে জেতানোর পেছনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। এ ব্যাপারে শুভাশীষ দাস জানান, ব্যক্তিগত সম্পর্ক সুমধুর না থাকলেও দলের স্বার্থে ওয়ার্ড এর প্রত্যেকটি বুথ থেকে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করিয়েছি তাকে। তাই কর্মীরা এই অপমান মেনে নিতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে অবশ্য শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা পৌঁছালে তাদের সঙ্গে কথা বলেন শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বৃন্দাবন প্রামানিক, তিনি অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। শান্তিপুরে আপাতত না থাকার কারণে বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর সাথে সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।