অবতক খবর: নদীয়া: উত্তরবঙ্গ থেকে দমদম পর্যন্ত যাওয়ার প্রধান এই সড়কের সম্প্রসারণের কাজ চলছে বেশ কিছুদিন ধরে । রাস্তার পাশের জমি জরিপ, নোটিশ প্রদান, জমি অধিগ্রহণ, জমিদাতাদের উপযুক্ত অর্থ প্রদান সহ নানা পদ্ধতি অনুযায়ী জাতীয় সড়ক এগিয়ে চলেছে ক্রমশ।
গত ডিসেম্বর মাসে নদীয়া জেলার হরিণঘাটা চাকদহ রানাঘাট হয়ে কোন সমস্যা ছাড়াই ফুলিয়া প্রফুল্ল নগর জ্যোতি পল্লী থেকে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। সেখানকার অধিবাসীদের একাংশ উচ্ছেদের নোটিশ নিতে অস্বীকার করে। তাদের দাবি অনুযায়ী বর্তমান বর্ধিত মূল্যের বকেয়াঅর্থ পরিশোধ করতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সালের আগে অধিকৃত জমির মূল্য আগের ভ্যালুয়েশন অনুযায়ী পাবেন, ২০১৩ সালের পর যারা জমি দিয়েছেন তাদের মূল্য বর্তমান আইন অনুযায়ী হবে। গত ৩০ ডিসেম্বর পোস্টারিং মাইকিং করে অসন্তোষজনক জমিদাতাদের বিডিও অফিসে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিছু অংশ উপস্থিত থাকলেও অনেকেই আসেননি সেই মিটিংয়ে।গত ২০ জানুয়ারি পুনরায় জমি চিহ্নিতকরণের কাজ করতে আসেন এসডিও বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকগন, বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যান তারা।
ইতিমধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করা অরাজনৈতিক সংগঠন জনজাগরণ মঞ্চ জানান তাদের চিঠি দিতে হবে, তারাই সকল জমিদারের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করবেন। তাদের অভিযোগ অনুযায়ী বিগত দিনের মাপের থেকেও বেশ কিছু অংশ রাস্তার জন্য বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন থেকে বলা হয়, আগের মাপ অনুযায়ী মাপ নেওয়া হয়েছে, তা বাদেও সমস্যা থাকলে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে কাছে নোটিশ দেওয়া হবে, সমাধান করা হবে তার সাথে কথা বলেই।
আজ সকাল দশটা নাগাদ ফুলিয়ার জ্যোতি পল্লী এলাকায় বেশ কিছু জমিদাতাদের বুলডোজার দিয়ে ভাঙার বিপক্ষে কাজ শুরু হওয়ার আগেই, বুলডোজারের চাকার তলায় বসে অবরোধ করতে থাকেন। ঘটনাস্থলে এসডিপিও লালটু হালদার, স্থানীয় থানার ওসি মুকুন্দ চক্রবর্তী, এসডিও হর সিং সিম সুরজিৎ বিডিও সুমন দেবনাথ, সহ এল আর ও বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিকগন দীর্ঘক্ষন বুঝিয়েও বিফল হন। অবশেষে কাজ স্থগিত রেখে, সকলেই চলে যান। আগামীকাল জেলা প্রশাসন সমস্ত জমিদাতাদের সমস্যা আছে তাদের নিয়ে বসবেন বলে আশ্বাস দেন।