অবতক খবর,৯ ডিসেম্বর: এ এক আজব মেলা৷ যে মেলায় ফুচকা-জিলিপি-পাঁপড়ভাজার দোকানের জায়গায় যত্রতত্র জুয়ার বোর্ড ছড়িয়ে থাকে তাকে আজব ছাড়া আর কীই বা বলা যায়! শুধু পুরুষরা নয়, এই মেলায় অংশ নেন বাড়ির মেয়ে-বউরাও৷ বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক আর সবচেয়ে ছোটো সদস্য একই বোর্ডে জুয়া খেলে৷ সেই দৃশ্যও চোখে পড়ে আকছার৷ সকাল থেকে শুরু হওয়া মেলা চলে রাতভর৷ এই জুয়া খেলায় কোনও পুলিশি নিষেধাজ্ঞা নেই৷ বড়োলোক-গরিবের ভেদাভেদও নেই৷ পুরাতন মালদার বাসিন্দারা এই মেলার সাক্ষী কয়েক প্রজন্ম ধরে৷

মুলাষষ্ঠী তিথিতে প্রাচীনকাল থেকে পুরাতন মালদা পুরসভার মোকাতিপুরে এই মেলা চলে আসছে৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ বিকেল চারটা পর্যন্তই নাকি এই মেলা চলবে৷ জানা গেছে এই মেলা মূলত মুলা ষষ্ঠীর দিনে অনুষ্ঠিত হয় এবং নিজেদের সন্তান কামনার জন্য মা লক্ষ্মীকে পূজা দেন , মেলার পাশেই সতী বেহুলা নদীর জল খেয়ে শুদ্ধি হন মহিলারা এবং মায়েরা এখানে আজও ঐতিহ্য পরম্পরা মেনে পুজো দিতে আসেন।

অন্যদিকে নিজের পকেটের রেস্তের খোঁজ নিতে ব্যস্ত আট থেকে আশি৷ সকাল সকালই এবার মেলায় যেতে হবে যে! সকালে শুরু হয় ষষ্ঠীপুজো৷ পুজো শেষ হতে না হতেই বসে জুয়াখেলার আসর৷ শুধু মালদা কিংবা রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, এমনকি অসম থেকেও অনেকে এই জুয়ার মেলায় আসেন জুয়া খেলতে।