অবতক খবর,১৬ই ডিসেম্বর :: নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত বীজপুর থানার অন্তর্গত জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে এক বিরাট পুকুর ভরাট হচ্ছে। জানা গেছে, মিন্টু কুশারী নামে এক প্রোমোটার এই পুকুর ভরাট করছে।
এলাকাবাসীদের অজান্তেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে এই পুকুর। আর সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল,এই পুকুর ভটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জেঠিয়া পঞ্চায়েত প্রধান সিয়াঙ্কা ঘোষ। তাঁর কথামতোই নাকি এই পুকুর ভরাট হচ্ছে, এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা।
এ প্রসঙ্গে আমরা পঞ্চায়েত প্রধান সিয়াঙ্কা ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ফোনে এই বিষয়ে তার কাছে প্রশ্ন করতেই তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। বারংবার আমরা ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। বিষয়টি তিনি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গেছেন।
এরপর আমরা এলাকাবাসীদের কাছে জানতে চাই যে, তারা কিসের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধান সিয়াঙ্কা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন? তারা জানান, এর পেছনে মূল কারণ হল মিন্টু কুশারী সিয়াঙ্কা ঘোষের খুবই কাছের লোক। আর জেঠিয়া স্কুলের পেছনে এত বড় একটি পুকুর ভরাট হচ্ছে এটা কি পঞ্চায়েত প্রধান জানেন না! সেই পুকুর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পঞ্চায়েত অফিস। তিনি সবই জানেন।
প্রধান সিয়াঙ্কার মদতেই এই কাজ চলছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেছেন, পুকুর ভরাট তো চলছেই, এর পাশাপাশি পুকুরের সাথে যে রাস্তাটি ছিল সেই রাস্তাটিকে কেটে পুকুর করে সেই রাস্তাকেই আবার পুকুরের সাথে মিশিয়ে ভরাট করা হচ্ছে।
ফলে যাতায়াতের রাস্তাটি আরো সরু হয়ে গেছে। পুকুরের আযয়তন প্রায় ২০-২৫ কাঠা। আর তার অর্ধেক প্রায় ভরাট হয়েই গেছে। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, তাদের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখে গেছে, কিন্তু তারাও নীরব। বলতে গেলে প্রায় চক্রান্ত করে সকলকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে এই কাজ চলছে, এমনই জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রোমোটার মিন্টু কুশারীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, তার কাছে বৈধ কাগজপত্র আছে কিন্তু তিনি কোনো কাগজ দেখতে পারেননি । আমরা পাল্টা প্রশ্ন করি যে, এইভাবে কোন ডোবা ভরাট করা যায় না,এটি বেআইনি। তাছাড়া এলাকাবাসীদের অভিযোগ ও আছে ।
তখন তিনি বলেন, ‘আমার কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই। বেআইনিকে আইনি করতে যেখানে যা দিতে হয় সব দিয়েছি ।তিনি আরো জানান আমরা এই কাজ দীর্ঘ দিন ধরে করছি ।কার কি লাগে আমরা জানি। কোন নেতার কি চাহিদা ও কার কত দৌড় সেটাও আমাদের জানা। আপনাদের যা করার করে নেন ।
এক পঞ্চায়েত সদস্য জানান কুশারী কাউকে মানে না ।বড়ো নেতা বিধায়কদের সঙ্গে তার খাওয়া দাওযা ।তাই আপত্তি করেও কোনো লাভ হয় না।আমরা আটকানোর চেষ্টা করলে সে তাদের কাছথেকে অনুমতি নিয়ে চলে আসে। তিনি আরও বলেন আইন শুধু কাগজেই পালন হয় । সাধারণ মানুষের জন্য বাহুবলীদের জন্য কোনো আইন নেই ।
মাঝে কিছু দিন এই বেআইনি ভরাট বন্ধ ছিল কিন্তু তৃণমূল ফের ঘুরে দাঁড়াতেই এলাকায় শুরু হয়েছে বেআইনি পুকুর ভরাট ।এখন প্রশ্ন কিভাবে একটি পুকুর সকলের চোখের সামনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে? প্রশাসন যদি এতে নজর না দেন তবে স্থানীয়দের ক্ষোভ আরো বাড়বে।