অবতক খবর,২৭ আগস্ট: হালিশহর পৌরসভার পৌর প্রধান ছিলেন অংশুমান রায়। তিনি পরবর্তীতে পৌর প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি উচ্চ নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছিলেন, পৌর প্রশাসক হিসেবে তিনি কাজ করতে চান না, তাঁর ব্যক্তিগত অসুবিধা রয়েছে। তাঁর পারিবারিক জীবনে তিনি যথাযথ সময় দিতে পারছেন না। তিনি এই পদ থেকে অব্যাহতি চান। তিনি এই আবেদন জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে দীর্ঘ দেড় মাস পর তার আবেদন গ্রাহ্য হয় এবং তাঁকে সরিয়ে সেই পদে নতুন পৌর প্রশাসক রাজু সাহানীকে নিয়োগ করা হয়। এই পর্যন্ত অবস্থা যথাযথই ছিল স্থানীয় রাজনীতিতে।কিন্তু এক প্রেসমিটে তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমফানের নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছেন,যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দল। সেইমত হালিশহরের পৌর প্রশাসক অর্থাৎ অংশুমান রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের উচ্চতম ব্যক্তিত্ব জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তিনি পৌর প্রশাসক অংশুমান রায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন।
এই বিষয়ে অংশুমান রায় নেতৃত্বকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন এবং মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ,উচ্চ নেতৃত্ব তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করুন। এদিকে বিষয়টি যেহেতু উচ্চ স্তরের নেতৃত্বদের মধ্যে গন্ডগোল,জেলা সভাপতি ভার্সেস স্থানীয় একজন পৌরপ্রধান বা পৌর প্রশাসক যাই বলা হোক না কেন তাঁরও নেতৃত্ব রয়েছে স্থানীয় অঞ্চলে, ফলে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল উঠেছে।
পরবর্তীতে অংশুমান রায়ের সাক্ষাৎকার মিডিয়াতে বিস্তারিতভাবে যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন আর একটি সাক্ষাৎকারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান যে, অংশুমান রায় সেই পদ থেকে চলে গেছেন মানেই যে তিনি অন্যায়, দুর্নীতি করেছেন তাকি প্রমাণিত হয়? আমি এমন অভিযোগ আনিনি,এটা মিডিয়ার অপপ্রচার।অর্থাৎ বিষয়টি যে তৃণমূল দলের মধ্যে একটা বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এটা বোঝা যাচ্ছে। কারণ রাজনৈতিক মহল মনে করছে যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এইভাবে বক্তব্য পেশ করে তিনি বিষয়টি পাশ কাটিয়ে গেলেন।
অন্যদিকে বারাকপুর সাংসদ বলেন, তৃণমূল মানেই কাটমানির দল। কাটমানি যথাস্থানে যথাসময়ে না পৌঁছে দেওয়ার কারণেই অংশুমান রায়কে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।