অবতক খবর, সংবাদদাতা, কলকাতা :: তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করে একেবারে প্রকৃত বিজেপি কর্মী নেতাদের ছাপিয়ে রাজ্য কমিটির বিভিন্ন পদে জায়গা করে নিয়েছেন অনেকেই। শুধু জায়গা করে নেওয়া নয় শীর্ষপদের আধিকারিক হয়েছেন অনেকে। যুব মোর্চার সভাপতি পদে ভূষিত হয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা মুকুল প্রিয় সৌমিত্র খাঁ। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে জেলার যুব সংগঠনের আর কে আরো মজবুত করার ও তাকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছিলেন সৌমিত্র কিন্তু এতে বাধ সাধে পুরাতনিরা । সৌমিত্র খান নিজের ইচ্ছা মতন কমিটি সাজাচ্ছেন এতে অভিযোগ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে অভিযোগ করেন পুরাতনিরা।
তবে সৌমিত্র খান ইতিমধ্যে ২০টি মত বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ও কমিটির গঠন করে তাদের হাতে সংগঠনকে মজবুত করার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন।আর এনিয়ে অভিযোগের পরদ চডতে থাকে। সৌমিত্র খান দ্বারা তৈরি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি ও কমিটিকে মেনে নিতে পারেননি বিজেপির আরএসএস পন্থী প্রাক্তনী সদস্যরা।
শুধু প্রাক্তনী রা নয় এই নতুন যুব কমিটি দের হাতে ক্ষমতা যাওয়াকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেননি আরএসএস মতাদর্শ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদের দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়া দিলীপ ঘোষও । অভিযোগ দীলিপবাবুর পন্থীদের যুব মোর্চার সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়নি, তাছাড়া যুব মোর্চা জেলা কমিটিতে তেমনভাবে যোগ্য জায়গা দেওয়া হয়নি তার সমর্থকদের ।
তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যুব সংগঠন মুকুল রায় ও তার অনুগামীদের হাতে চলে গেছে বলেই ক্ষিপ্ত দিলীপ ঘোষ ও তার অনুগামীরা। তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর জেলার সাংগঠনিক এর যুব মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় মুকুল রায় ও অর্জুন প্রিয় অরুণ ব্রহ্ম কে। আর এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দিলীপ ঘোষ ।
তাই দলে মুকুল-অর্জুন ও সৌমিত্র দের দাপট কমাতে এবার তিনি সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় বেছে নেন। রাজ্য সভাপতির ভিটো পাওয়ার ব্যবহার করে তিনি একটি চিঠি জারি করে পরিষ্কার করে দেন যে জেলার সমস্ত যুব মোর্চার জেলার সভাপতি ও যুব কমিটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।সেই দায়িত্ব পালন করবেন তার দ্বারা নির্বাচিত জেলা সভাপতিরা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যে চিঠি জারি করেছেন তাতে লেখা আছে “অনিবার্য কারণবশত আজ থেকে পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত জেলার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতি পদ ও জেলা কমিটির বাতিল করা হলো পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত জেলার বিজেপির সভাপতি গণ এই দায়িত্ব পালন করবেন।”
দিলীপ ঘোষের এই চিঠি দিয়ে এক কথায় যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁনের সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।তবে এনিয়ে এখনো মুখ খোলেননি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।সরাসরি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও জেলায় জেলায় ইতি মধ্যে বিজেপি র ভেতর ক্ষোভ বাড়ছে। যে অরুন ব্রম্হ নিয়োগের পর এই সমস্যা সেই অরুন বাবু জানান যে সভাপতির চিঠি দেখেছি তবে দলের তরফে এমন কিছুই জানানো হয়নি। আদৌ দিলীপ বাবু এই চিঠি নিজে লিখেছেন নাকি তৃণমূলীরা যোগসাজেশ করে এটি মার্কেটে ছেড়ে দিয়েছে সেটাও পরিষ্কার নেই তাই এই চিঠি নিয়ে আমরা ভাবছি না।
অন্যদিকে কিছু অন্য নিউজ পোর্টাল জানায় যে সৌমিত্র এনিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি তাদের জানান যে দিলীপ বাদ মহিলা মোর্চা থেকে যুব মোর্চা সাব টাই নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এইসব নিয়ে মুকুল রায় কে জিজ্ঞসা করলে তিনি এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
মুকুল বাবু মুখ না খুললেও আগুন যে ভেতর ভেতর ভালোই লেগেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পুজোর পর এনিয়ে এপার ওপর লড়াই যে হতে চলেছে সেটাও মুকুল শিবিরে দেখলেই বোঝ যাচ্ছে। অপমানিত সৌমিত্র খাঁ ক্ষোভে ফুঁসছেন।তার দ্বারা নির্বাচিত যুব মোর্চার সভাপতিদের সরিয়ে দিয়েছেন দিলীপ বাবু। তাকে কলমের এক খোঁচায় হিরো থেকে জিরো বানিয়ে ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। দলে এমন অপমান কি সহজে হজম করে নেবেন সৌমিত্র খাঁ না কি তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি ? এই দিকেই তাকিয়ে বাংলার যুব সমাজ।