অবতক খবর,তমলুক,৬ অক্টোবর নং,পূর্ব মেদিনীপুর: অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জেরে এখনও জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি ব্লক! তার ওপর আবারও ঘনিয়ে আছে দুর্যোগের মেঘ! জেলা জুড়ে প্রশাসনের চরম সর্তকতা জারি। কৃষি প্রধান জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। জেলার ধান চাষের পাশাপাশি প্রধান অর্থকরী ফসল পান। জেলার কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া বাদ দিয়ে প্রতিটি ব্লকে বহু চাষী পান চাষের সঙ্গে যুক্ত। তাদের প্রধান জীবিকাই পান চাষ। কিন্তু বৃষ্টিতে জলমগ্ন পানের বোরজ। নষ্ট হয়ে গিয়েছে পান চাষ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৩ টি ব্লকে প্রায় ছয় হাজার দুশো একান্ন হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। কিন্তু প্রবল বর্ষণ কারণে জলের তলায় পানের বোরজ। চাষীদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক। পুজোর মুখে প্রধান অর্থকরী ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন জেলার পানচাষিরা। কেউ লোন নিয়ে কেউ বা জমানো টাকায় সশরীরে মেহনত করে পানের বোরজ বানিয়ে ছিলেন। তর তাজা সবুজ সতেজ পান পাতাও বোরজ জুড়ে হয়ে ছিল চোখে পড়ার মতো।
টানা অবিশ্রান্ত বৃষ্টি তছনছ করেছে পান গাছকে। নষ্ট করেছে বোরজের সমস্ত পান। পান বোরজের মধ্যে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় হাঁটু সমান। যার ফলে বোরজের মধ্যে গাছেই নষ্ট পান। চাষিদের মাথায় হাত, চোখে জল। খাবে কি তাঁরা, যাবে কোথায়! কারন এই পান চাষই এক মাত্র সম্বল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ময়না নন্দকুমার ভগবানপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের মানুষের। বিশেষত ভাবে এই জেলায় কালিবাংলা পানের বাজার দর বেশি থাকে, কিন্তু লাগাতার ভারী বৃষ্টির ফলে কার্যত জলের তলায় পান বোরজ, নষ্ট বহু মূল্যের পান পাতা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক এলাকা পান চাষের ওপর নির্ভর শীল। কিন্তু গাছ যখন নষ্ট তখন দেনার দায়ে ডুবল চাষিরা। চাষিদের মতে পান চাষের পেছনে কেউ কেউ এক লক্ষ টাকা খরচ করে পান বোরজ তৈরি করেছেন। যেখানে পান বিক্রির ওপর লাভ হিসেবে দাঁড়ায় কয়েক লক্ষ টাকা। কিন্তু সব লাভের টাকা জলে! অর্থাৎ বৃষ্টির জমা জলে চাষ যেখানে নষ্ট, সেখানে বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না।