অবতক খবর,২৯ আগস্ট,বাঁকুড়া:- বিষ্ণুপুর পৌরসভার টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে আরও লক্ষ লক্ষ টাকা ও প্রচুর পরিমাণে সোনার হদিস পেল তদন্তকারী অফিসাররা।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে এরেস্ট হয়েছেন রাজ্যের প্রাপ্ত মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী তারই পাশাপাশি এরেস্ট করা হয়েছে শ্যাম ঘনিষ্ঠ আরো দুই ব্যক্তিকে। বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়ার দিলীপ গড়াই ও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির পার্সোনাল একাউন্টেন্ট রামশংকর মহান্তি ওরফে খোকনকে।
অভিযুক্তদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে পুনরায় পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন মহামান্য আদালত।
বর্তমানে তিনি বুকে ব্যথা নিয়ে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। এরই পাশাপাশি বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়ার দিলীপ গড়াইকে মহামান্য আদালত ১৩ দিনের জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এর পাশাপাশি সদ্য অ্যারেস্ট হওয়া শ্যাম ঘনিষ্ঠ খোকন মহান্তিকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের দিয়েছে মহামান্য আদালত।
এর আগে খোকন মহান্তির বাড়ি থেকে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা ও বেশকিছু একাউন্ট এবং জমির দলিল বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী অফিসাররা।
এরপর তদন্তকারী অফিসাররা দফায় দফায় জেরা করছে অভিযুক্তদের। পুলিশ সূত্রে খবর গতকাল শ্যাম ঘনিষ্ঠ খোকন মহান্তিকে জেরা করে আরো বিপুল পরিমাণে অর্থ ও সোনার হদিস পেয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। যে সমস্ত ব্যাংক একাউন্টের হদিস পেয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এমনটাই জানতে পারছে তদন্তকারী অফিসাররা। তবে কোথা থেকে এত টাকা এল টেন্ডার দুর্নীতি কান্ডে আরও কে কে জড়িয়ে সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে তদন্তকারী অফিসাররা।