অবতক খবর,১৩ আগস্ট: ঠাকুরপুকুর বাখরাহাট রোডের সাজুয়াতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভ্যান দাঁড় করিয়ে ও তেলের পিপ দিয়ে কাটআউট হাতে করে এই বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত সাজুয়াতে স্থানীয় মানুষজন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তার কারণ হলো গতকাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতির সামিমা সেখের স্বামী নাম রমজান সেখ,তিনি অহেতুকভাবে বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন।
তারই প্রতিবাদে আজ স্থানীয় মানুষজন পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এর জেরে ঠাকুরপুকুর ও বাখড়াহাট রোডের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে,রমজান সেখের শাস্তির দাবি তুলেছে স্থানীয় মানুষজন।
ঘটনাস্থলে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ গিয়ে স্থানীয় মানুষজনদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেন, ঘন্টাখানেক বন্ধ থাকে এই রাজ্য সড়ক।
এর জেরে সমস্যায় পড়ে ব্যবসায়ী থেকে পথচলতি মানুষ জন,অফিস যাত্রীসহ, কর্মচারীরা।
স্থানীয় মানুষজন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, পারিবারিক অশান্তি নিয়ে এই গণ্ডগোলের কারণ হলো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ত্রিকোণ প্রেম। স্বামী মোশারফ সেক দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তা নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর পিতা মাতা সাজুয়া শান্তি সংঘ ক্লাবে দ্বারস্থ হয়।
মেয়ের পিতা মাতার কথা শুনে ক্লাব সদস্যসহ কর্তৃপক্ষরা তারা মুশাররফের বাড়িতে যায় এবং প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথে ক্লাব কর্তৃপক্ষরা কথা বলেন।তারা বলেন ড় নতুন বউকে ঘরে তুলতে হব। প্রথম পক্ষের স্ত্রী অস্বীকার করেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষরা জানান, ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে,এমনটাই অভিযোগ মোশাররফের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর।
আরো জানান, রাত সাড়ে নটা নাগাদ ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রচুর লোকজন তার বাড়িতে চড়াও হয়। ভয় পেয়ে জেলা সভাধিপতির স্বামী রমজান আলী শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেয় গোটা ঘটনা তার সমক্ষে তুলে ধরেন স্বামীর কুকীর্তি ও ক্লাবের দুর্ব্যবহার রমজান আলী শেখ তাকে আশ্বস্ত করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন আজ সকালে ক্লাবের কর্তৃপক্ষ ও সদস্যরা জানান রাতের অন্ধকারে রমজান আলী ও তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এসেছে ক্লাবের ছেলেদের উপর আক্রমণ করেন। এমনটাই অভিযোগ তোলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ রা পাশাপাশি মোশারফ এর ছেলে ও স্ত্রী এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ ক্লাব কর্তৃপক্ষ রা রাতে তান্ডব চালিয়েছে।