অবতক খবর , নদীয়া : রাজ্যের মধ্যে নদীয়া শান্তিপুর বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ঠাকুরের গহনা নির্মাণে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি ভারতের বাইরেও এই সুদক্ষ কারিগরদের হাতের কাজ জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় সকলেই হয়েছে গৃহবন্দী। আর স্থানীয়দের কাজের যোগান মিলছে না সকলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায়। এমনকি বিভিন্ন পুজো পার্বণগুলিও হয়েছে ম্লান।
তবে আসন্ন মনসা পূজোর সাপে বর করেছে খানিকটা । ৫ ফুট লম্বা এক রুপোর সাপের অর্ডারে খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছেন নদীয়ার শান্তিপুরের প্রসেনজিৎ সেন । এর আগেও তারাপীঠের মায়ের মুকুট , জেলার বিভিন্ন মন্দিরের বড় আকৃতির ঠাকুরের টায়রা, চাঁদ মালা, পদ্ম কমলের মতো বিভিন্ন ঠাকুরের গহনা তিনি অর্ডার পান কাজেরদক্ষতার সূত্রে।
সংগীতের কৃষ্ণপ্রসাদ প্রসেনজিৎ বাবু হারমোনিয়াম, তবলা, পিয়ানো, বাঁশি রুপো দিয়ে তৈরি করে রাখেন বিক্রির উদ্দেশ্যে। লকডাউন এ বিভিন্ন বারোয়ারি, পুজো কমিটি পুজোর অনিশ্চয়তা থেকে অনেকেই খরচ বাঁচিয়ে এবছর ঠাকুরের গহনা বানানোর দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন বলেই প্রসেনজিৎ বাবুর আশা।