অবতক খবর,২১ ফেব্রুয়ারি : এসএসসির গ্রুপ ডি মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ চাকরি বাতিল হওয়া ১ হাজার ৯১১ জন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ১ হাজার ৯১১ জন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরির সুপারিশ বাতিল সংক্রান্ত এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি খোয়াতে বসা ১ হাজার ৯১১ জন। ইতিমধ্যেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ মামলায় ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাভিয়েট দাখিল করেন মূল মামলাকারী লক্ষ্মী টুংগা। কোনওভাবেই মামলায় যাতে এক তরফা কোনও নির্দেশ না দেওয়া হয়, সে কারণেই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এরপরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশ বাতিল হয়। ওএমআর শিটে গোলমালের জেরে এই সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপারিশ বাতিলের পাশাপাশি তিনি বলেন, যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকী বেতন ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান ১৯১১ জন। মামলাকারীরা আদালতে প্রশ্ন তোলেন, ইলেকট্রনিক্স তথ্যে অনেক কিছুই করা যায়। কেন এত তাড়াহুড়ো করে রায় দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, কেউ যদি খুন করে, তাকেও বলার সুযোগ দেওয়া হয়। অথচ এখানে কোনও কিছু প্রমাণিত নয়, তারপরও বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। একদিনেই চাকরি বাতিল কেন?, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।