দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটি মৃত্যু দেখলো কলকাতা। আমরা বেহায়া, নেই কোনো লজ্জা। অরাজকতা,গোয়েন্দা রিপোর্ট কেন ছিল না? এতো পুলিশি সাজসজ্জা!
ডেথ কনসার্ট
তমাল সাহা
এই গাঙ্গেয় উপত্যকায়
রে বাঙালি তুই মাথা নিচু করে থাক
এই মৃত্যু দেখে মানুষ সাধারণ হতবাক!
তুই তো বেশ ভালই ছিলি বলিউডে
এই বঙ্গোপসাগর উপকূলে কেন এলি?
শুধু তুই নয় দুবার করে মারা গেল আরো দুই প্রখ্যাত বাঙালি–
স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য!
অন্যজন কলেজের অনুষ্ঠান মঞ্চ যার নামে
সেই গান পাগল নজরুল।
এখানে মৃত্যু তো তুই সাথে করে এনেছিলি
মঞ্চে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দু’ঘণ্টা মৃত্যুর অপেক্ষায় ছিলি।
মঞ্চে প্রচণ্ড দাবদাহ রাত্রিবেলা
জোরালো আলো জ্বলছিল
ঠান্ডা মেশিন ছিল বন্ধ
তুই তো মৃত্যুর গন্ধ পাচ্ছিলি!
আড়াই হাজারের জায়গায়
ঢুকে গেছে সাত হাজার লোক!
দমবন্ধ শ্বাসরোধী পরিবেশ
তোর কথা পাত্তা দিচ্ছে না কেউ–
ঠান্ডা মেশিন চালু করো
কত ভোল্টেজের আলো–
স্পট লাইট নেভাও! স্পটলাইট নেভাও!
পিঠ পুড়ে গেলো!
কারা ছুড়ছিল ফায়ার এক্সটিংগুইশারের গ্যাস
তোর মৃত্যু আরও ত্বরান্বিত হলো, ব্যাস!
মৃত্যুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে করলি ফাইট
আহা! গানের মজলিশি, কেকে নাইট।
অসুস্থ হলেও নাকি পড়ে গিয়েছিলি!
দু’ঘণ্টা পর হাসপাতাল
কি করতে বাংলায় এসেছিলি হাতে নিয়ে পরকাল!
পুলিশ নিরাপত্তা কোথায় ছিল?
গোয়েন্দারা এসব জানে না? কেন সংস্কৃতির নামে এই বেলেল্লাপনা!
তোর জীবন আমরা করে নিলাম লুট
এখানে বাঙালির জীবন কেমন দেখলি তুই ছক্কা পাঞ্জা পুট।
তবে আমি নিশ্চিত বাংলায় না মরলে
তুই পেতিনা এমন রাজকীয় স্যালুট!