অবতক খবর,৩ নভেম্বরঃ বীজপুর বিধানসভায় একের পর এক উন্নয়নে নামছে ধস। কেন এই ধস নামছে তা সাধারণ মানুষ তো বুঝতে পারছে,কিন্তু নেতারা হয়তো বুঝতে চাইছেন না।

হালিশহর অঞ্চলের উন্নয়নে একের পর এক ধস নেমেই চলেছে। কোথাও পাইপ ফেটে যাচ্ছে,কোথাও মাঝ রাস্তায় ধস নামছে। এই তো অবস্থা শহরের।

এবার আসা যাক মূল কথায়। তেঁতুলতলা জলের ট্যাঙ্কির সামনে লাইন দিয়ে রয়েছে বেশ কিছু দোকান। দোকানগুলি তৈরি করেছে পৌরসভা। আজ সকাল সকাল এক ব্যবসায়ী দোকান খুলতে এসে হঠাৎ ধসের মধ্যে পড়ে যান। তিনি বুঝে উঠতে পারলেন না যে কি হলো! ভূমিকম্প হলো নাকি মাটি ফেটে গেল। আতঙ্কেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে ওই ব্যবসায়ীকে টেনে তোলেন।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক এলাকাবাসী।আর এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন,এই তো উন্নয়ন! ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। কিন্তু মোটা টাকা মাইনে নিয়ে যে তারা কি কাজ করছেন তারাই জানেন। আর যেসকল সংস্থাগুলি এই রাস্তার কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করছেন তারাই বা কি করছেন? তারা কি সাধারণ মানুষকে‌ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য এইরকম কাজ করছেন? কারণ বারবার কাজ হচ্ছে এবং ধস নামছে।

অন্যদিকে আর এক ব্যবসায়ী বলছেন যে, কাকে বলব আর কি বলবো? এখানে দেখার কেউ নেই। অবাক লাগছে এই উন্নয়ন দেখে।

অন্যদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হালিশহর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস। তাঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি আগের কাউন্সিলরের উপর দোষ চাপিয়ে দেন।

তিনি বলেন,”এই কাজ যখন হয়েছে তখন আমি কাউন্সিলর ছিলাম না।”এর পাশাপাশি তিনি ইঞ্জিনিয়ার,কন্ট্রাক্টারদের দোষ ধরলেন।

কিন্তু ওই অঞ্চলের কাজ বিগত কয়েক মাস আগেই হয়েছে।নিজের দোষ ঢাকতে তিনি অন্যের দোষ ধরলেন।

সাধারণ মানুষের টাকা উন্নয়নে খরচ হচ্ছে,কিন্তু কাজের কাজ যে কিছুই হচ্ছে না,তার উদাহরণ এই ঘটনা।

বীজপুর বিধানসভা জুড়ে চারিদিকে কাজ হচ্ছে, সেটি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই হচ্ছে কাজের নমুনা। তবে কি শুধুমাত্র মানুষের ‘আই ওয়াশ’ হচ্ছে? এই তো উন্নয়নের অবস্থা। এরকম কাজ যদি হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? মানুষের যদি কোন ক্ষতি হয়, তবে তার দায় নেবে কে? নগরবাসীদের সুরক্ষা কোথায়? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নগরবাসী।