অবতাক খবর, সংবাদদাতা, বারাকপুর:- তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী দল ত্যাগ করে বলেছিলেন, বেড়ালের গলায় ঘন্টা বেঁধে দিয়েছি। এবার শুরু হল। তার এই কথা আজ অনেকটাই সত্য হল বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি তৃণমূল ত্যাগ করার পর বিজেপি তে যোগদান করছেন। আর তার পরেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়েছেন। শুভেন্দুর পর বিধায়ক ও নেতারা একের পর এক দল ছাড়তে শুরু করেছেন। পর পর ধাক্কা তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার সকালে দল ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মী দল ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন। দল ছেড়েছেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জীতেন্দ্র তিওয়ারিও। দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ সুনীল মাঝি। দল কে গুড বাই জানিয়েছেন , প্রাক্তন তৃণমূলের মন্ত্রী ও নেতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী। এবার দলের প্রাথমিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বারাকপুর বিধায়ক শীল ভদ্র দত্ত।
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক শীলভদ্র, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ই মেল মারফৎ চিঠি পাঠিয়ে দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান যে অনেক দিন ধরেই তার ক্ষোভ ছিল , আর ইদানিং তৃণমূলের কিছু নেতা এমন ব্যবহার করেছেন যে তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।দল ছাড়ার পরেই এদিন শীলভদ্রের কার্যালয় থেকে সরানো হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি। সেখানে বসেছে বিবেকানন্দ’র ছবি।
যদিও এই ছবি সরানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি কোনও দলে নেই তাই ওই দলের প্রতীক সরিয়ে দিয়েছি। বিবেকানন্দ তো সব সময় সম্মানীয় তাই তাঁর ছবি লাগিয়েছি।’ তবে দল ছাড়লেও এখনও বিধায়ক পদে নিজেকে ধরে রেখেছেন শীলভদ্র দত্ত। তিনি বলেন বিধাক হয়েছেন জনতার ভোটে। তাই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না তিনি। তবে তিনি সরকারি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান। যদিও এখনো তার সরকারি নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে ।
তিনি বিজেপি তে যোগদানের প্রশ্নের উত্তরে জানান যে একদিনেই সব খবর করে দিলে বাকি দিনে কি খবর করবেন। তার এই কথায় পরিষ্কার যে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে সুর চড়াবেন । তিনি তাঁর গন্তব্য বিজেপি কিনা, সে প্রসঙ্গে কোনও কথা খোলসা করে জানান নি বারাকপুরের বিধায়ক। তবে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা যে অমিত শাহের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যেতে পারে তাঁকেও।
উল্লেখ্য, বিধায়কেরা দল ছাড়লেও তৃণমূল অনড়। নির্বাচনের আগে দু’টো থেকে দশটা বিধায়ক চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ এত বড় বীর নয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিলে দলটা উঠে যাবে। কারণ আমরা দলের জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করি।
অন্যদিকে নৈহাটী বিধায়ক পার্থ ভৌমিক , শীল ভদ্র দত্তর দল ছাড়া নিয়ে বলেন, আমার তাকে নিয়ে কিছু বলার নেই শুধু এইটুকু বলব, দাদা আপনি সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। তবে আমি তৃণমূলের টিকিট দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে আপনার কাছে গিয়ে দক্ষ করে আসবো।