অবতক খবর,২১ আগস্ট: তৃণমূল দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিকভাবে নতুন প্রস্তুতি নিয়েছেন। যুব শক্তিকে তারুণ্যের জোয়ারে ভাসিয়ে দেবেন এমন একটি পরিকল্পনা রচনা করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে যে,৪০ বছরের ঊর্ধ্বে যে সমস্ত নেতারা ছিলেন তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে তরুণ রক্ত নিয়ে আসা হবে। এই সমস্তই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে, রাজনৈতিক মহল বলছে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে,এই অঞ্চলে এই যে সমস্ত কাউন্সিলর বা যুবনেতা যারা বিপদকালীন পরিস্থিতিতে অর্থাৎ ২৩শে মে ২০১৯-এর পর যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তাকে উপেক্ষা করে যারা কোনমতেই দল পরিবর্তন করেননি, তৃণমূলেরই শেকড় আঁকড়ে ধরেছিলেন,তাদের কি হবে?
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়ভাবে,টাউন সভাপতি সুজিত দাস, তো তার এখন অবস্থান কী হবে ? তিনি দলীয় নেতৃত্বে থাকবেন কিনা বা তিনি কি দায়িত্ব পাবেন,কোন দায়িত্বে থাকবেন,এ নিয়ে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে সুজিত দাস বলেন,এ বিষয়ে আমার কোনো মতামত নেই। দল বড়, ব্যক্তি বড় নয়। দল যেমন দায়িত্ব দেবে, তেমন দায়িত্ব পালন করব। দল যদি পদ থেকে সরিয়ে দেয় তাও মানতে রাজি। কারণ আমিতো দলের কর্মী, দলের সৈনিক মাত্র। সুতরাং দল যা বুঝবে সেভাবেই আমাকে চলতে হবে। কিন্তু ওই যে দলত্যাগীর ভূমিকা,ওই যে দল পরিবর্তনের মুখোশবাজি,এসব আমার পছন্দ নয়, তা আমি কোনমতেই করতে পারব না। যে দলটি করছি অর্থাৎ তৃণমূল দল,সেটিই করে যাব।