আজ তবে পরকীয়া লিখি।
তিথি রাধাষ্টমী। শ্রীরাধার জন্মদিন।

তোমারো লাগিয়া
তমাল সাহা

আশ্বিনের এই প্রহরে ধারা বৃষ্টি ঝরে। আকাশের গায়ে ঝুলে আছে অষ্টমীর চাঁদ।
জোছনায় বারিধারা আলো মাখে তাহার শরীরে।
ধারাবিন্দু বলে আজ বড় প্রশান্ত আনন্দময় হিয়া
ধারাই রাধা হয়ে জন্ম নিলে এই ধরাতলে মাটির উপরে।

যত রূপে দেখো চাঁদ– বাঁকা চাঁদ পুরনো চাঁদ মেঘের গায়ে ঢলে আছে চাঁদ সবেতেই রাধার নাম লেখা প্রেমের জটিল ফাঁদ
পৃথিবীর যত প্রাচীনতম প্রেম নীরব নির্জনে গোপন কথা
জয় রাধে রাই কিশোরী তোমার সাথে দেখা।

রুপো লাগি আঁখি ঝুরে রাধার অন্তরে হইলো কি ব্যথা সবই শিখি তোর কাছে
রাধাকে নিয়েই আমাদের গেরস্থালি যত কথা ঘরে বাঁধা আছে।

নীপকুঞ্জ কদমতলা
মোহনবাঁশি
এ কোন চোরাবালিতে ডোবালি
কান্না শব্দটি জানি তো আমরা
প্রতি অঙ্গ কাঁদে কেন–
এতো রাধে তুই-ই শেখালি!

কত কত কর্তা পদাবলী জানি শুনি প্রেম ও গাঁথা পরকীয়া অভিসার শিখাইলি তুই
রাজু যাত্রা ঝুলন দৌলত পূর্ণিমা নৌকাবিলাস মানভঞ্জন
লোকে বলে জয় রাধে চলো মানব প্রদেশে ভালোবাসা বীজ রুই!

যেখানে নীল অতল সীমাহীন আকাশ কৃষ্ণকায় মেঘ যমুনার অসিত জল সেখানেই ঘনশ্যাম
প্রকৃতিতেই ঐশ্বর্য সম্পদ
বাঁশিতে বাজে সুদূরের সুর
রাধে রে তুই আমার জীবনে এনে দিস কোন মধুর বিপদ?

বিরলে একলে বসিয়া থাকি রাধা হয়ে যাই
জীবন কর্ষণ করিব, আমি শ্রীকৃষ্ণ হইব
জয় রাধে, রে রাই তোকেই আমার চাই।