দক্ষিণ সমুদ্রপারে জন বিদ্রোহ
অবতক -এর বিশেষ প্রতিবেদনঃ এখন শ্রাবণের বারিধারার সময়। অথচ প্রজ্জ্বলিত পাবক শিখা বিস্তৃত হচ্ছে প্রতিবেশী হাওয়ায়। দক্ষিণ সমুদ্রপারের পড়শি দেশে নোনা বাতাস আগুনের হলকা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সীমাহীন বায়ুমণ্ডলে।
আমাদের দখলেই ছিল এই দেশ কোনোদিন। মনে পড়ে অতীশ দীপঙ্করের সিংহল যাত্রা। সংঘমিত্রার কথা।তারও বেশি পৌরাণিকতার আখ্যান আছে আমাদের। সেদিনের রামায়ণের লঙ্কা দহন পর্ব সমুদ্র পাড়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে এখন।
জন-রণযাত্রা রাজধানীর অভিমুখে। কলম্বো চলো। বাসে ট্রাকে জনরোষ পৌঁছে গেছে রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায়। জনতাই তো আসল শাসক। তার নির্দেশে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জনতা স্পেশাল ট্রেন ছুটে চলেছে রাজধানীর দিকে। রাষ্ট্রপতি ভবন কার? রাজপ্রাসাদ কার? জনতার। দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় জন্মভূমি মাতৃভূমি কলঙ্কিত,সে তো রাষ্ট্রনায়কদের জন্য!কিন্তু মাতৃজাতক জনতা কেন সহ্য করাবে সেই অন্যায়? দেশমাতৃকার প্রতি বেশরম হবে কেন রাষ্ট্রশক্তি? প্রমাণ করে দিতে হবে জনতাই শক্তি। জনতার ক্ষমতার চেয়ে বড় কিছু নয়।
পালিয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি। ভীত-শঙ্কিত রাষ্ট্র ক্ষমতা নিরাপত্তা খুঁজছে নৌবাহিনীর আড়ালে। প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষিত ছাউনি যে রাজপ্রাসাদ তাকে গিলে খাচ্ছে আগুন। দখল হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। রাষ্ট্রপতির সোফায় আনন্দে বসে আছে জনতা। তারা রাষ্ট্রপতির সুখাদ্য নির্মাণের হেঁশেলের দখল নিয়েছে। চলছে রান্নাপর্ব। রাজকীয় বাসনকোসন ছুঁয়ে দেখছে তারা। জনতার এ এক অপূর্ব উল্লাস। রাষ্ট্রপতির সুইমিং পুলের নীল জলে উদ্দাম জনতার সাঁতারু শরীর। মুক্ত জলক্রীড়ারন আনন্দ।
জনতা পারে, জনতা নিশ্চিত পারে। জনরব উঠেছে সংবাদে। মিডিয়ায় এই সংবাদ দ্রুত ছড়াচ্ছে। আমাদের দেশেও পৌছে গেছে সংবাদ।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মহাবিদ্রোহের সূচনা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। জয় হোক মানুষের!