অবতক খবর,২৫ মে: দমদম জেলে বসেই তোলা চেয়ে দেওয়া হয়েছিল হুমকি,তোলা দেননি ব্যারাকপুরে ডি বাপির বিরিয়ানি দোকানের মালিক বাপি দাস। ফলতঃ জেলে বসেই দেওয়া হয় সুপারি। তার জেরেই ব্যারাকপুরে ডি বাপি বিরিয়ানির দোকানে চলে গুলি। ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের হাতে।
দমদম জেলে বন্দি ওই আসামী সুজিত রায়কে ইতিমধ্যে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে মোহনপুর থানার পুলিশ। তাকে সাত দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সুজিতই টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত এবং ওই ঘটনায় সে দমদম জেলে বন্দি। তবে শুধু সুজিত নয়, সোমবার কাঁকিনাড়া থেকে আরও এক অভিযুক্ত রাহুল বর্মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এই নিয়ে বিরিয়ানি দোকানে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো তিন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সোমবার দিনে দুপুরে ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় লাগোয়া ব্যারাকপুর বারাসাত রোডের ধারে ডি বাপির বিরিয়ানি দোকানে প্রকাশ্যে বাইক থামিয়ে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালায় তিন দুস্কৃতী। তাতে বিরিয়ানি দোকানের এক কর্মচারী ও এক ক্রেতা জখম হন। ঘটনার পর বিরিয়ানি দোকানের মালিক বাপি দাস পুলিশকে জানায়, ঘটনার কয়েকদিন আগে তার মোবাইলে একটি হুমকি ফোন এবং মেসেজ আসে। তারই সূত্র ধরে পুলিশ সুজিতের হদিশ পায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মণীশ শুক্লা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত দমদম জেলে বন্দি এই সুজিতই তোলা চেয়ে হুমকি দিয়েছিল ডি বাপি বিরিয়ানি দোকানের মালিককে। তোলা না পাওয়ায় সুজিতই ছেলে পাঠিয়েছিল। সুজিতের নির্দেশ মতোই তিন দুস্কৃতী বাইকে চেপে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে পালায়।
যদিও দুস্কৃতীদের টার্গেট বিরিয়ানি দোকানের মালিক বাপি দাস ছিল, নাকি নিছকই ভয় দেখাতে দুস্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়েছিল তা সুজিতকে জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। একইসাথে জেলে বসে কত টাকা তোলা সুজিত চেয়েছিল সেটিও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে পুলিশ জেরা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।