অবতক খবর,১২ এপ্রিল : অর্পিতা ঘোষ, দোলা সেন, সুদীপ রাহা এবং শান্তনু সেন। দমদম বিমানবন্দর থেকে উত্তরবঙ্গে গেলেন–
*দোলা সেন*
মমতা ব্যানার্জি মানুষের নেত্রী। চিরকাল মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে মানুষের যোগ থাকে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেন। প্রশাসক হিসেবে ওনার ভূমিকা জনমুখী। উন্নয়নমুখী। তাই পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয় প্রো এবং অ্যান্টি পিপল অর্থাৎ মানুষের পক্ষে মমতা এবং মানুষের বিপক্ষে অন্যরা। তাই শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, মমতার কারণে গোটা বাংলার মানুষের ওপর আস্থাশীল।
*শান্তনু সেন*
মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট যদি বেছে বেছে একেক রাজ্যের জন্য একেক রকম হয় সেটা অত্যন্ত দুঃখের। উৎসবের জন্য যদি ২০০০ কমিটিকে দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে তাহলে ঘরছাড়া ২০০০ মানুষ, যারা রাস্তায় বসে, তাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য নিজে বলছে আমরা নিজেরাই বাড়ি তৈরির টাকা দেব। তাও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। উৎসব আনন্দ করার জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। গৃহহীন মানুষকে গৃহ ছাড়া করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি সারাই করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা প্রমান করে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এর ক্ষেত্রেও পলিটিক্যাল ভেন্ডেটা কাজ করছে।
বিজেপি কোথাও মিটিং করলে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নাম করে ভুয়ো ফর্ম ফিল আপ করিয়ে লোক আনে। কোথাও কম্বল দেওয়ার নাম করে লোক আনে। সেই কম্বল নিতে গিয়ে আবার মানুষ পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়। আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মিটিংয়ে চেয়ার খালি আছে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেও লোক ভরাতে পারেনা, বিনা পয়সায় ট্রেন দিয়েও লোক ভরাতে পারেনা। মমতা ব্যানার্জি যেখানে জনোচ্চাস সেখানে। অভিষেক ব্যানার্জি নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাতে তার নামেই মানুষ আসে।
১৯৫২ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচন হওয়ার পর আজ অষ্টাদশ নির্বাচন হতে চলেছে। কমিশন নজিরবিহীন ভাবে ভোট ঘোষণার আগে বাংলায় বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশে ৮০ টা আসন। সেখানে ২২০ কোম্পানি বাহিনী। আর পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টা আসন থাকা স্বত্ত্বেও সেখানে ৯২০ কোম্পানি। অথচ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বলছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো জায়গায় রয়েছে। পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতা।
আমি একটাই কথা বলব, ৯২০ কোম্পানি এলেও লাভ হবে না।