অবতক খবর,১১ আগস্ট,মালদা: দলের প্রধানকে সরিয়ে তৃণমূলরই নতুন প্রধান নির্বাচিত হল মালদা ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
কড়া পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ নতুন প্রধান নির্বাচিত হল এই গ্রাম পঞ্চায়েতে।
প্রধান গঠনের পর আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠল তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সাত আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে ছিল। প্রধান নাহারুল শেখের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগকে সামনে রেখে অনাস্থা প্রস্তাব আনে পঞ্চায়েতের চার সদস্য। বুধবার এই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মানিকচক ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শুরু হয় প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া।
৭ জন সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়ায়।তবে ৪ জন সদস্যের সমর্থনে নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয় পঞ্চায়েত সদস্য রবিউল ইসলাম।সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল প্রধানকে নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচন করা হয় রবিউল ইসলামকে।
এরপরই আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠলেন এলাকার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। আবির খেলা থেকে শুরু করে গান বাজনা বাজিয়ে চলতে থাকে আনন্দ-উল্লাস করার পালা তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এদিকে প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া ঘিরে কড়া পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন করে মানিকচক থানার পুলিশ। আইসি অক্ষয় পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় পঞ্চায়েত চত্বরে। শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া।

নতুন প্রধানকে শীঘ্রই দায়িত্বভার দেওয়া হবে বলে জানান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী।

এ প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান রবিউল ইসলাম জানান, প্রধানের প্রতি আস্থা না থাকায় ৪ জন সদস্যের সমর্থনে নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি।দলের অঞ্চল নেতৃত্বকে জানিয়ে এই প্রধান নির্বাচন করা হয়েছে। আগামীদিনের এলাকার সার্বিক উন্নয়নের কাজ করা হবে বলে জানালেন নবনির্বাচিত প্রধান।

প্রধান পদ থেকে অপসারিত হয়ে নাহারুল শেখ জানান,দলের জন্য বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে সর্বদা কাজ করে গেলেও পাশে দাঁড়ায়নি এই বিষয়ে। দলের নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনো মর্যাদা পাওয়া যায়নি এই দলে। যারা দলের জন্য কিছুই করেনি তারা প্রধান হচ্ছে।