অবতক খবর :: নিজস্ব সংবাদদাতা :: ইসলামপুর :: মিশন নির্মল বাংলার অন্তর্গত স্বচ্ছ ভারত মিশন ওয়াটার স্যানিটেশন সেলের মাধ্যমে গ্রামীণ শৌচাগার নির্মাণের যে কাজ হয়েছে তা ব্যবহার করার আগেই নষ্ট হয়ে গেল। খসে পরলো সিমেন্ট, বালি এবং ভেঙে পড়লো শৌচাগারের বিভিন্ন অংশ। উঠে গেল রংও। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। গোয়ালপুকুর এক ব্লকের পান্জিপারা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুটি বস্তি সহ বিভিন্ন গ্রামে এ ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে।
এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ হানিফ জানান, নিন্ম মানের কাজ করার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের কাছে ইট ও সিমেন্ট চেয়েছেন তারা। সেসব দিয়েছেন। এরপরও দায়সারা ভাবে কাজ করে গেছেন। বিষয়টি তিনি বিডিও অফিসে জানাবেন। শহিদুর রহমান নামে অপর এক ব্যক্তি তিনি অভিযোগ তুলেছেন যে এটি একটি দায়সারা কাজ করেছেন। প্লাস্টার করেননি অনেক জায়গাতেই। সিমেন্ট দিলেও কাজ হয়নি সেখানে। বরঞ্চ তাদের দেওয়া সিমেন্ট নিয়ে গেছেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি মাজেদা খাতুন নামে অপর উপভোক্তা জানান, এমন নিম্নমানের কাজ হয়েছে যা ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। কোনোভাবেই তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এলাকার উপপ্রধান মহম্মদ রাহী বলেন, এ বিষয়ে তিনি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলবেন। বিষয়টি তার জানা ছিল না। সামগ্রিক বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে তা মেরামত করার যাতে ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা করা হবে ।পাশাপাশি নিম্নমানের হলে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বরাত প্রাপ্ত সংস্থার পক্ষে আনসার আলম জানান, এখন লক ডাউনের জন্য কাজ বন্ধ ।অনেকদিন আগে কাজ করা হয়েছিল। এখন কি অবস্থায় আছে তা জানা নেই। তবে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ একেবারে মিথ্যা। যদি শৌচাগার ভেঙে পড়ে। ব্যবহার করতে না পারেন। তবে তা নিশ্চয়ই ঠিক করে দেওয়া হবে। যদিও তিনি বলেছেন ,একটা কাজ শেষ হওয়ার পর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক থেকে তিনবার এনকোয়ারি হওয়ার পর তারপর তাদের বিল প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে তাদের দায়বদ্ধতাও রয়েছে।