অবতক খবর,৫ সেপ্টেম্বর: একটা সময় ছিল যখন শরিরে বল ছিল। সেই সময় রিকশা চালিয়ে উপার্জনের সিংভাগ দরিদ্র আসহায় পড়ুয়াদের জন্য খরচ করতেন তিনি৷ যার বই দরকার তাকে বই কিনে দিতেন। যার খাতা কলমের দরকার তাকে খাতা কলম কিনে দিতেন। নিজে পড়াশোনা করতে পারেননি, সেই কোথাও যেন কুরে কুরে খাচ্ছিল বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পাগলিগঞ্জ এলাকার রিকশা চালক স্বপন আধিকারীকে। তাই তিনি তখনই ব্রতি হয়েছিলেন যে, অসহায় দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। সেইমতো রিকশা চালিয়ে উপার্জনের সিংহভাগ অসহায় দরিদ্রদের জন্য খরচা করতেন।

প্রত্যেক বছর কম করে হলেও প্রায় ১০ হাজার টাকার বই খাতা কলম দুঃস্থ পড়ুয়াদের মধ্যে কিনে বিতরণ করতেন। এক দু’বছর নয় দীর্ঘ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন স্বপনবাবু। রিকশা চালিয়ে কতটুকুই বা উপার্জন করতেন স্বপনবাবু। কিন্তু তিনি দরিদ্র পড়ুয়াদের পাশে সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। এখনকার দিনের অনেকেই আছে যারা অনেক অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু তাদের এমন ভাবে মানুষের পাশে থাকতে দেখা যায় না। স্বপনবাবু সমাজ গড়ার অন্যতম শিক্ষক। তাই শিক্ষক দিবসে স্বপন অধিকারীকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হল সম্মান। দেওয়া হল সংবর্ধনা। এছাড়াও স্বপনবাবুর পাশে থাকতে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কিছু অর্থ সাহায্য করা হয়। কারণ বয়সের জেরে শরীর অনেকটাই অসার হয়ে পড়েছে। সেই আগের মত বল আর নেই শরীরে। কাজ করতে পারেন না। এমনকি সেভাবে চলা ফেরাও করতে পারেন না৷ পাশাপাশি বয়সজনিত কারণে শরীরে বেঁধেছে নানা অসুখ। তাই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সকল পাশে থাকার জন্য সবরকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এদিন স্বপনবাবুর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মান জানানোর পাশাপাশি সংবর্ধনা দেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক পবিত্র মহন্ত। এছাড়াও প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন ক্লাবের সভাপতি প্রদীপ পাল। এছাড়াও স্বপনবাবুর বাড়িতে এদিন হাজির ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।