অবতক খবর,২৭ নভেম্বর: বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র দাস দ্বিতীয়বার সেরিব্রাল অ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ধীরে ধীরে আরোগ্যের পথে এটি জানালেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র জয়ন্ত দাস। তিনি বলেন, বাবা আপাতত সুস্থ আছেন। ধীরে ধীরে আরোগ্য হয়ে যাবেন বলে আমরা আশা রাখছি।

উল্লেখ্য, তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং দেখভাল করছেন তৃণমূল দলের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী। এক সাক্ষাৎকারে জয়ন্ত দাস জানান , সুবোধ অধিকারী কেবলমাত্র রাজনৈতিক নেতা নন। তিনি আমাদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত।‌ তিনি প্রতিনিয়তই তার খবরাখবর নিয়ে চলেছেন। এই প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতারা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কিনা? তিনি বলেন,না। শুধুমাত্র সুবোধবাবুই যোগাযোগ রাখছেন। এর পাশাপাশি সুবোধবাবু কথা দিয়েছেন যে কোন মুহূর্তে যে কোন সময় তিনি পাশে আছেন এবং সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে যাবেন। ‌

শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র দাস প্রকৃতপক্ষে কংগ্রেস কর্মী। যৌবন কাল থেকেই তিনি কংগ্রেস করে আসছেন। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূল দলে যোগদান করেন। উল্লেখ্য, কাঁচরাপাড়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। তবে তাঁর পুত্র জয়ন্ত দাস জানান, তিনি মানসিকভাবে অত্যন্ত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ‌যখন তাঁকে কাঁচরাপাড়া কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির পদ‌ থেকে বিনা কারণে অপসারণ করা হয়। এতে তাঁর আত্মসম্মানবোধে আঘাত লাগে। তিনি যে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায়, তিনি অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি এটি মেনে নিতে পারেননি।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী জানান, তাঁকে যেভাবে অসম্মানিত করা হয়েছে, এটা বীজপুরবাসীর পক্ষে লজ্জাজনক। এমন ঘটনা ঘটানো নিশ্চিত অন্যায় এবং শোনাও মহাপাপ। তিনি অধিকন্তু বলেন, তাঁর এই হৃত সম্মান আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। ‌তবে যে চক্র তাঁকে এভাবে অসম্মানিত করেছে, আমরা পাল্টা তাকে অসম্মানিত করে এর প্রতিশোধ নিতে চাই এবং জগদীশ বাবুর যথাযোগ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে চাই।