দিল্লি- নির্ভয়া, তেলেঙ্গানা- প্রিয়ঙ্কা, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের কামদুনি,কাটোয়া, খরজুনা, কালীঘাট– তামাম ভারতবর্ষ এখন ধর্ষণ-উপমহাদেশ

ধর্ষণ শিল্প বনাম মোমবাতি শিল্প
তমাল সাহা

কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির এই চরাচরে
দাঁড়িয়ে আছি আমি
ভারত মহাসাগরের বালুকাবেলায়।
আমার এই কন্ঠস্বর যেন ছুটে যায়
সেইসব মেয়েদের দিকে
যারা নেমেছে মিছিলে, মোমবাতি জ্বালায়।

এই মেয়ে! কত মোমবাতি জ্বালবি তুই?
কাল তুই ধর্ষিতা হবি না তার নিশ্চয়তা কই!

মোমবাতির পর মোমবাতি জ্বলবে
তাতে তো তৈরি হবে
মোমবাতি শিল্পের বাজার।
তোরা প্রতিদিন ধর্ষিতা হতে থাকবি
হাজার হাজার।

আজ তোর হাতে মোমবাতি জ্বলছে
কাল তো তুইও জ্বলবি।
মোমবাতির মৃদু শিখা
তোর কাছে হার মেনে যাবে।
আবার একটা মিছিল হবে।
তারপরেই সব নিভে যাবে, ভুলে যাবে।

শোনো অর্থনীতির গল্প—
ধর্ষণ ও মোমবাতি দুটিই এখন শিল্প।
অর্থনীতির নিয়মে
চাহিদা থাকলে যোগান বাড়ে।
ফলে মোমবাতি শিল্প বাঁচাতে
আরো আরো কত সংখ্যক ধর্ষণ যেন
আছে অপেক্ষা করে!

হে স্বদেশ আমার! তুমিই বলো,
ধর্ষণ শিল্প ও মোমবাতি শিল্প পাশাপাশি আর কতদিন চলবে?
নারীদের মৃত্যুর গল্প বলবে!