অবতক খবর,কলকাতা,২৮ এপ্রিল,সুমিত: আগামি ৩ মে ইদ উদযাপিত হতে পারে। যদিও সকলেই জানেন, চাঁদ দর্শনের উপরই নির্ভর করে ইদ উদযাপন। ফলে শেষ মুহূর্তের পরিবর্তন ঘটলে সেটা অন্য প্রসঙ্গ।
‘ইদ উল-ফিতর’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ– উৎসব, আনন্দ, খুশি। ‘ইদ’ এসেছে ‘আউদ’ শব্দ থেকে। এর অর্থ– এমন উৎসব, যা ফিরে ফিরে আসে, পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। ইদের অন্য অর্থ– খুশি-আনন্দ-উচ্ছ্বাস। ‘ফিতর’ শব্দের অর্থ– ভেঙে দেওয়া। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর যে উৎসব উদযাপন করা হয়, তা-ই ইদ-উল-ফিতর। গোটা রমজান মাস রোজা রেখে মানুষ তাঁর ভেতরের সব রকম নেতিবাচকতাকে নষ্ট করে। তার দৈনন্দিন জীবনে ফুটে ওঠে সংযম সত্যনিষ্ঠা সদভাবনা ও সদিচ্ছার ছবি। ইদের দিনটি সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করার দিন।

ইতিহাস বলছে, এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন ইসলামের নবী হজরত মহম্মদ স্বয়ং। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একমাস রোজা পালনের পরে আসে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র উৎসব এই ইদ। শাওয়াল মাসে এই দিনটি পালন করেন মুসলিমরা। এই দিনে মানুষ যা কিছু পেয়েছে তার জন্য সে কৃতজ্ঞতা জানায় আল্লাকে। কোরান অনুসারে, পুণ্যার্থীদের অবশ্যই ইদের নমাজের আগে জাকাত উল-ফিতর দিতে হয়। ইদ শুরু হয় সূর্যাস্তের পরে, রাতে পবিত্র চাঁদ দর্শনের পরে। নতুন চাঁদ দেখা মাত্র পাড়া-মহল্লার মসজিদের মাইকে ঘোষিত হয় খুশির বার্তা ইদ খুশিতে রমজান মাসের ২৯তম দিনের পরে যদি আকাশে পবিত্র চাঁদের দর্শন না হয়, তা হলে তার পরের দিন ইদ পালিত হয়।