অবতক খবর,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৭ জুলাই :: বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল, সকাল থেকেই আচমকাই বুকে ব্যাথা। খাট থেকে নীচে নামতেই প্রস্রাব করেই অঞ্জ্যান হয়ে পড়ে। স্হানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে নববারাকপুর পুরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কোদালিয়া।মৃত একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার নাম পার্থিব চক্রবর্তী। বয়স ১৭ বছর। একটু ভারী চেহারা। বাবা সঞ্জয় চক্রবর্তী ও মা রীতা চক্রবর্তী। বাবা ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ ।সঞ্জয় বাবু পেশায় বারাসত একটি সোনার দোকানে কাজ করেন। ছেলেটির বাবা জানান, সোমবার রাতের খাবার লুচি আলুর দম জাতীয় কিছু মশলা জাতীয় খাবার খেয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে বুকে গ্যাসের ব্যাথা ওঠে। ব্যাথার যন্ত্রনায় খাট থেকে নীচে পড়ে গিয়ে প্যান্টে প্রস্রাব করে দেয়। অচৈতন্য অবস্থায় স্হানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি দেখে মাইকেল নগর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সাথে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও বাবা মা জেঠুর দাবি বাড়িতেই কার্ডিয়াক হার্ট অ্যাটাক করে মারা গিয়েছে। বিরাটী নবজীবণ কলোনী নবজীবণ বিদ্যামন্দিরে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল পার্থিব। সকলের খুব আদরের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিদ্যালয়ে অনিয়মিত ছিল সে।
মৃত্যুর খবর পেয়েই বিদ্যালয়ের তরফ থেকে সহ শিক্ষকরা বাড়িতে গিয়ে বাবা মায়ের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান। ঐদিন বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয় মৃত্যু সংবাদে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্হানীয় পুর প্রতিনিধি মিহির দে, সমাজসেবী সঞ্জয় সাহা, অমিত সরকার।এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে এই পড়ুয়ার মর্মান্তিক অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদে।