রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া :: নামেই কনটাইন্টমেন্ট জোন, বাস্তবের ছবিটা শহরের অন্যান্য স্বাভাবিক অংশের মতোই।
কোনটাইন্টমেন্ট জোনের সামনে দেখা নেই জেলা প্রশাসনের। দেখা নেই কর্তব্যরত হাওড়া সিটি পুলিশ।
ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের অফিস, হাওড়া হাসপাতাল, হাওড়া আদালত ও জেলা শাসকের বাংলো। হাওড়ার ঋষি বঙ্কিম রোড এখন কনটেন্টমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষিত। এখানে কড়া লকডাউন হওয়ার কথা কিন্তু বাস্তবে চলছে অবাধ আনলক পর্যায়। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে স্টেশনারী-সবই খোলা রয়েছে। চায়ের দোকানে বসে চলছে আড্ডা। সুরক্ষা বিধি শিখেয় দিয়ে মুখে মাস্ক পড়ার প্রয়োজনীয়তাও নেই।
চায়ের দোকানদার জানান তিনি জানেন না। তাই খোলা রেখেছেন। এখন জানলেন। হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় জানান গত তিন দিন ধরে তারা চা নিচ্ছেন এখন থেকে।
সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দেখে হঠাৎ করে ছুটে আসেন দুজন পুলিশ কর্মী। সংবাদমাধ্যম দেখে তাদের তৎপরতা বাড়লো দেখে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কনটাইন্টমেন্ট জোনের শেষ গার্ডারেলের সামনে সবেধন নীলমণি এক মহিলা সি পি ভি এফ কর্মী। যা দেখলে হতবাক হতে হয় করোনা আবহের মধ্যে। যেখানে রাজ্যে সংক্রমনের নিরিখে হাওড়া তিন নম্বরে। এমত অবস্থায় প্রশাসনের এই ধরণের ঢিলেঢালা মনোভাবে চিন্তায় সাধারণ মানুষ। তাহলে কি বজ্র আঁটুনি পেছনে ফস্কা গেরো হয়ে রয়েছে। সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন