বিনয় ভরদ্বাজ, অবতাক খবর, 17ই নভেম্বর 20 :: তৃণমূল দলে গোষ্ঠী কোন্দল এখন শাসকশ্রেণীর মাথা ব্যথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে কেউ কেউ চুপিসারে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন কিন্তু এখন প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বিধায়ক কাউন্সিলর থেকে নেতারা। মুর্শিদাবাদ জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেনের পর এবার হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে সরাসরি দলীয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান ।
অন্যদিকে গোষ্ঠী কোন্দলে নাজেহাল উত্তর 24 পরগনা জেলা। জেলার অন্যতম নেতা ও বিধায়ক পার্থ ভৌমিক নিজের এলাকাতে গোষ্ঠী কোন্দল সামাল দিতে পারছেন না। মুর্শিদাবাদের পর দাদার সৈনিকরা জেলায় জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যারা পার্টির ভেতরে রয়েছেন তারাও মুখ খুলতে আর তেমন ভয় পাচ্ছেন না। কারণ এখন দাদাকে দেখে সাহস পাচ্ছেন ওরা। এবার প্রকাশ্যে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে তারা।
যেমন নৈহাটিতে দলীয় কোন্দলের কথা বারে বারে খবরে উঠে এসেছেঋ দলের ভেতরে টাউন সভাপতি যুব সভাপতি পদ নিয়ে লড়াই মাঝে মাঝেই প্রকাশ পায়। এবার প্রাক্তন সভাপতি ও দলের সিনিয়র পার্থ দাশগুপ্ত দলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন জাহাজে উঠে পড়ার কথা। তিনি নিজেকে এই পথ থেকে সরিয়ে আনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তার এভাবে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ফেসবুকে পোস্ট করার পর দলের ভেতরে বিভাজন আরো বড় হতে শুরু করেছে।
তাই এবার এই বিভাজনকে রুখতে বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। আজ বেলা 11 টায় সমরেশ বসু মঞ্চে প্রধান নেতৃবর্গকে নিয়ে তিনি বৈঠকে বসে রফাসূত্র বের করার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে।
এই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে সভাপতি পৌর প্রশাসক অশোক চ্যাটার্জী, প্রাক্তন যুব সভাপতি সনৎ দে, নতুন যুগের লড়াইয়ে উঠে আসা দলের বলিষ্ঠ যুবনেতা বিষ্ণু অধিকারী, দলের হিন্দিভাষীদের মুখ গৌরীপুরের নেতা রাজেন্দ্র। তাছাড়াও ডাকা হয়েছে পাল বিহীন জাহাজের পার্থ দাশগুপ্তসহ আরো দু একজনকে।
বিধায়ক পার্থ ভৌমিক যখন যখন কোনো যুবক কোনো নেতা মুখ খোলেন দলের বিরুদ্ধে তখন তখন তিনি ব্যক্তিগত বৈঠক করে দ্বন্দ্ব মেটানোর ব্যবস্থা করেন। তবে দ্বন্দ্ব তাৎক্ষণিকভাবে ঘুচে গেলেও, ধামাচাপা দেওয়া গেলেও বাস্তবে তার ফুলকি জ্বলতে থাকে। যেমন বিভিন্ন জেলা সভাপতি ও যুব সভাপতি কমিটির ঘোষণা করা হয়ে গেল কিন্তু বিধায়ক পার্থ ভৌমিক নিজের এলাকায় এই পদে যোগ্য নেতা নির্বাচিত করতে এখনো অবধি পারেননি। বিষ্ণু যেমন যুব সভাপতি পদের দাবিদার তেমনি সনৎ দে এখন মাদার সভাপতি পদের দাবিদার হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে পার্থ দাশগুপ্ত ও রাজেন্দ্র পদের দাবিদার রয়েছেন। এমন অবস্থায় বিধায়ক পার্থ বাবু দলীয় কোন্দল মেটাতে আজ কোন টনিক ব্যবহার করেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সমগ্র নৈহাটীর মানুষ।