অবতক খবর,৮ ফেব্রুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গের ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন ক্রমাগত জমজমাট হয়ে উঠছে। নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নির্বাচনী প্রচারে মিডিয়া মারফত তৃণমূল এবং বিজেপির প্রচার যত বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে, কংগ্রেস বাম জোট ময়দানে থাকলেও তাদের প্রচার সেভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
সে যাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন যে একটি বিষয় তা একটা অন্য মাত্রা পেয়েছে। ক্রমাগত দেশপ্রেম বাড়ছে দুই রাজনৈতিক মহলেই। বিশেষ করে এবার রাজনৈতিক পণ্য হয়ে উঠেছেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। দুই দলই তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে।
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে প্রশাসনিক স্তরের তৎপরতা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক স্তরে ব্যাপক রদবদলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন দেখাতে চাইছেন তারা নিরপেক্ষ এবং এবার নির্বাচন হবে স্বাধীনভাবে। এছাড়াও তারা বাস্তবভাবে দেখিয়ে দিতে চাইছেন যে, নির্বাচন কমিশন কিভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রেখে নির্বাচন করতে পারে। ইতিমধ্যেই তারা রদবদলের নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার হয়েছেন সৌমেন মিত্র। আগে এই স্থলে ছিলেন অনুজ শর্মা। এদিকে আমাদের এই ব্যারাকপুর মহকুমা অঞ্চল যে নির্বাচনে অত্যন্ত তৎপর এবং অন্য অভিমুখ নিতে চলেছে তা নির্বাচন কমিশন উপলব্ধি করেছেন। সূত্রের খবর সেই চিন্তাতেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নতুন কমিশনার হচ্ছেন অজয় নন্দা। আগে এই পদে ছিলেন মনোজ কুমার ভার্মা। দেখা যাচ্ছে অন্যান্য মহাকুমা অঞ্চলেও এইরকম রদবদলের একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখে তা বোঝা যাচ্ছে।
আসন্ন নির্বাচন যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশাসনিক তৎপরতা নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা দেখে তা বোঝা যাচ্ছে।