অবতক খবর :: ২২সে অক্টোবর,২০২০ :: নৈহাটী :: নৈহাটি পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর সকল সদস্য গণ কেবলমাত্র কাগজ কলমেই রয়ে গেছে। পৌর প্রশাসক অশোক চ্যাটার্জী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামাজিক ও উন্নয়নের কাজের ফিরিস্তি বর্তমান পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সকল সদস্য ও ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরদের এড়িয়ে কেবলমাত্র স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সনৎ দের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক রাজ্য সরকারের বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয় লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হকারদের সাহায্যর কথা। সূত্র মারফত আরো জানা যায় নৈহাটি থানা এলাকায় হকারদের সাহায্যর দরখাস্ত নৈহাটি পৌরসভায় বর্তমানে জমা নেওয়া হচ্ছে না। নৈহাটি পৌরসভা প্রশাসক এক প্রশ্নের উত্তরে জানান নতুন কোন হকারদের সাহায্যের আবেদন নেওয়া যাচ্ছে না কারণ হকার্স মার্কেট গঠনের সময় পূর্বের হকারদের নামের যে তালিকা পৌরসভার কাছে আছে তার ভিত্তিতেই সাহায্য পাওয়া যাবে বলে জানান। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে লকডাউনে যারা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তায় বসে হকারি করছেন তারা কি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী হকার সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। এই ব্যাপারে ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র মারফত, আরও জানা যাচ্ছে বর্তমান পৌর প্রশাসক মন্ডলীর যারা সদস্য তাদের অধিকাংশ ওয়ার্ডেই গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির কাছে। সেইসব ওয়ার্ড থেকে বাছাই করা সদস্যদের পৌরসভা প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এহেন অবস্থায় যে ওয়ার্ডগুলো গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কে জয়লাভ দিতে সাহায্য করেছিল সেই ওয়ার্ড গুলির কো-অর্ডিনেটরদের দূরে সরিয়ে রেখে নিজের সভাপতিত্বের বাহবা নিতে ব্যস্ত।
এখন ধরা যাক গত লোকসভা নির্বাচনে ১১,২১,২২,২৪ ওয়ার্ড গুলিকে একদম পর্যদুস্ত হয়ে গত ২৩ শে মে-র পর বিজেপি তান্ডব লীলায় ওইসব ওয়ার্ড গুলি যারা বর্তমান কো-অর্ডিনেটর ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল। বরং যখন একে একে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ৮ টি পৌরসভাই বিজেপির দখলে চলে যাবার পর নৈহাটির বুকে পার্থপ্রতিম দাস গুপ্ত নিজস্ব চেষ্টায় নৈহাটি পৌরসভা বোর্ডকে পুনরায় ফিরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে উপহার দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও কিন্তু ঐ সেই পার্থ প্রতিম দাস গুপ্তকে দলের কার্যক্রম এর দিকে ঝুঁকতে দেখা যায়নি। এই খবর আমাদের অবতক খবরের প্রথম প্রচারিত হওয়ার পরেই পার্থ বাবুর গুরুত্ব বেড়ে দলের বিভিন্ন কর্মসূচির আমন্ত্রণের মাধ্যমে দলের কর্মসূচিতে যোগদান করতে দেখা যায়। ঐ সময় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমানে যিনি কো-অর্ডিনেটর কেবল স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে ছিল কিন্তু তিনি আরেকটি সিআইসি পাবার দাবি করে বসে থাকেন। এমত অবস্থায় দলের তখন ডামাডোল চলছিল কারণ সদ্য লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে নিরিখে। অতঃপর নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সনৎবাবুর মন রক্ষার্থে ময়দানে নেমে তাকে জঞ্জাল বিভাগের সিআইসি করার আশ্বাস দিয়ে দলের কাজের পুনরায় নামান।
তৃণমূল কংগ্রেস দল এখন আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে । এমত অবস্থায় বয়সের নিরিখে সনৎ বাবু যুব সভাপতির পদ থেকে বঞ্চিত অবস্থায় বিভিন্ন মিটিং ও অফিসিয়াল কাজে যুব সভাপতি পদ ব্যবহার করার কথা সূত্র মারফত জানা যায় । উনি এখন মাদার কমিটি অর্থাৎ টাউন তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ পাবার জন্য তদবির শুরু করেছিলেন, এখন নৈহাটির টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের গুরু দায়িত্ব পায় কিনা তা রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে ।