অবতক খবর,৮ আগস্ট: গত মাসকয়েক ধরে এইরাজ্যে অনেকগুলি গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেছে। খবরে প্রকাশ, অন্তত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আইএসএফের সক্রিয় কর্মী আবু সিদ্দিক হালদার নামে এক যুবককে পুলিশী হাজতে নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। দল বলেছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা।

তাঁর বাড়ি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঢোলাহাট থানায়। এছাড়া, এই সময় কলকাতার একটি ছাত্রাবাসে স্রেফ চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে ইরশাদ আলমকে। মারা গেছেন প্রসেন মণ্ডল সহ আরো অনেকে।

কলকাতায় আজ এরই প্রতিবাদে ও প্রতিটি হত্যার ন্যায়বিচারের দাবীতে রাস্তায় নামলেন অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের কর্মীরা। কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক পথ হাঁটলেন শিয়ালদহ স্টেশন চত্ত্বর থেকে ধর্মতলার রানী রাসমনী অ্যাভেনিউ পর্যন্ত। এখানেই এক সংক্ষিপ্ত সভা হয়।

এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশী হেফাজতে মৃত্যু হচ্ছে, অথচ সরকারের শীর্ষে যিনি আছেন তিনি নিশ্চুপ। ভাবখানা এমনই যেন এই রাজ্য দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ। অথচ এখানে সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসীরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ওপর আমাদের আস্থা আছে, সংবিধানের ওপর আস্থা আছে। এই হত্যাগুলির ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি অভিযোগ করেন, পুলিশের একাংশ সাম্প্রদায়িক হয়ে পড়েছে। এটা মোটেই কাম্য নয়।

প্রশাসনের শীর্ষে যিনি আছেন তার মদতেই পুলিশ এই জঘন্য কান্ড করে চলেছে। আমরা পুলিশী অত্যাচারের অবসান চাই। পুলিশী উর্দি পরে শাসকদলের হয়ে দালালি করা চলবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। এই সভায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার না পেলে আন্দোলন আরো তীব্রতর করা হবে। এই জঙ্গলের রাজত্ব খতম করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোন পথ নেই।

বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, তিনি বলেন রাজ্যে অপশাসন ও নৈরাজ্যের শাসন চলছে পুলিশ সাধারণ মানুষের উপরে নির্যাতন করছে অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজ‌্য কমিটির সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটি সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্ব।