অবতক খবর,১৬ সেপ্টেম্বর,বাঁকুড়া:- পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল পরিচালিত ছাতনা ১ নম্বর পঞ্চায়েত তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে দলের কর্মীরা অভিযোগ প্রধানের।
বাঁকুড়া ছাতনা তৃণমূল পরিচালিত এক নম্বর পঞ্চায়েতে আজ তালা বন্ধ করলো তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, দলের নিয়ম কানুনকে সিকেয় তুলে নিজের ইচ্ছামত স্বৈরাচারীভাবে, অনৈতিকভাবে বিভিন্ন কার্যকলাপ সাড়ে তিন বছর ধরে করে আসছে। p.h.e. দপ্তরে অস্থায়ী পঞ্চায়েতের মারফতে যে নিয়োগের নামের তালিকা ইচ্ছে মত করে পাঠিয়েছেন দলের পরামর্শ না নিয়ে।
সঞ্জয় দত্ত ছাতনা এক নম্বর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বলেন, তালা দেওয়ার কারণ পঞ্চায়েত প্রধানকে বারেবারে পার্টির সঙ্গে বশ করানো হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান নিজের ইচ্ছামত একলা তন্ত্র ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যেগুলো করছ সেগুলো অন্যায় করছেন। তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। যে অস্থায়ী চাকরির নামের তালিকা উনি নিজের ইচ্ছামত পাঠিয়েছেন, উনাকে বলা হয়েছিল পার্টির সঙ্গে আলোচনা না করে তুমি কেন নাম পাঠিয়েছো, উনি নিজের কাছের মেম্বারদেরকে নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন।
সরস্বতী বাউরী পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, তালা বন্ধে্য কারণ জানিনা। তাদের ইচ্ছা আমাদের পার্টির লোক কি করছে, আমাদের নিজেদের দলের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে, উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে। আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
শ্যামল সাঁতরা তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান বলেন, বৃহৎ পরিবারে কোথাও যদি সামান্য কোন ঘটনা ঘটে থাকে, সেটা আমরা দেখে নিচ্ছি। খোঁজখবর নিয়ে নিচ্ছি। এ নিয়ে বিশাল কিছু চিন্তার অবকাশ নেই। বৃহৎ পরিবারে থাকলে খুঁটিনাটি হতেই পারে।
পার্থ কুন্ডু বিজেপি রাঢ়বঙ্গ জন কনভেনার বলেন, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এটা ভাগ-বাটোয়ারার লড়াই তৃণমূলের প্রতিটা রন্ধে রন্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ পাচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের এখন লড়াই। এখানে বিরোধী বিজেপি দিকে প্রতিবাদ বা আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন নেই।