অবতক খবর,৫ অক্টোবর,পশ্চিম মেদিনীপুর: যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে! এখানেই শেষ নয়। মেয়েরা রাঁধা ও চুল বাঁধার পরেও বাড়ির কাজ সামলে এবার শুরু করলেন নিজেদের উদ্যোগে দুর্গাপুজো। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রোকনার পিংলাস গ্রামে হতো না দুর্গা পুজো। দীর্ঘ প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কোন গ্রামেই হয়না দুর্গা পুজো।

অষ্টমীর দিন বাড়ির মেয়েরা অঞ্জলি দেওয়ার জন্য দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতেন দূরের কোন পূজা মণ্ডপে। কখনও আবার এতদূর যাওয়া হয়তো সবার পক্ষে সম্ভব হতো না। তাই নিজেরাই চিন্তা ভাবনা করে গ্রামে দুর্গা পুজো করার উদ্যোগ নেয়। স্ব-সহায়ক দলের মহিলারা প্রথমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার পর, গ্রামের মানুষজনদেরকে জানায় বিষয়টি। তবে গ্রামের মানুষরা তাদের কথায় সায় দেয়নি। তবে পিছিয়ে পড়েন নি মেয়েরাও!

নিজেদের প্রচেষ্টায় ১৩ জনের একটি কমিটি করে, গ্রামে গ্রামে গিয়ে চাঁদা আদায় করে, শুরু করেন দুর্গাপুজো। ২০২৪ সালে তাদের পুজো তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। এবারের তাদের বাজেট চার লক্ষ টাকা। লক্ষীর ভান্ডারে জমানো পুজি থেকেই চাঁদা দিয়ে এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় ধুমধামে পালন করছে পুজো। অন্যান্য পুজো কমিটির মতো এই মহিলা পরিচালিত পুজো, রাজ্য সরকারের দেওয়া সাহায্যও পায় না। তাই সরকারের কাছে তারা আবেদনও করেন পরবর্তীকালে এই সাহায্য পেলে আরো ভালো ভাবে পুজো করতে পারবেন। কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই এই স্ব-সহায়ক দলের মহিলারা গ্রামের মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো।