গাঙ্গেয় তীরে মজদুররা কেমন আছে? চটকল ক্রমাগত বন্ধ হয়ে যায়। লক ডাউন লক আউটের দিকে যায়। আমরা নিঃশ্চুপ, আমরা কোথায়?
পাটের ফেঁসো উড়ে যায়
তমাল সাহা
নভেম্বর বিপ্লবের মাস
এ কথা জানে ভাগীরথীর বাতাস।
তার সঙ্গে মিশে থাকে
চটকল মজদুরের দীর্ঘশ্বাস।
ভাগীরথী তীরে
হাজিনগর,কাঁকিনাড়া
ভাটপাড়া, শ্যামনগর,টিটাগড়–
মহল্লা জুড়ে শ্রমিকরা থাকে।
তাদের কি খবর?
জুট মিলের নামগুলি কি দারুণ শোনায়–
নফরচাঁদ মজদুরকে নফর বানায়
হুকুম চাঁদ হুকুম জারি করে
সানবিম কোন উজ্জ্বলতা বাড়ায়
রিলায়েন্স কি আস্থা আনে?
হাজার হাজার শ্রমিক ফিরে যায়
লকআউটে তালা ঝোলে গেটে–
শ্রমিক দরজায় কপাল ঠুকে করাঘাত হানে।
মালিকের চাই দ্বিগুণ শ্রম দ্বিগুণ উৎপাদন।
শ্রমিক তো চেতাবনি
মালিকও কি কম যায়!সে দেখায় অন্য মস্তানি।
পেটেভাতে রুটিরুজিতে মারার আমদানি।
মজদুরের অবরোধ লড়াই মার খায়
পুলিশ তো মালিকের পক্ষে পাহারায়।
এসবই পুরানো সাবেকি কাহিনী
তুমি আমি সকলেই জানি–
নেতা ও মালিকের চোখ টেপাটেপি
আর কানে কানে কানাকানি।
রামপ্রসাদের ঘাটে দাঁড়িয়ে
দেখিয়ে একটি মাথাউঁচু চিমনি
বাবা বলেছিল,বল দেখি দ্রুত বল,
কেন এর নাম চটকল?
গাঙ্গেয় বাতাস
আমার চেয়েও আগে বলে ওঠে,
চট করে বন্ধ হয়, তাই এর নাম চটকল।
আমরা নীরব,সত্যিই অসহায়!
পাটের ফেঁসো হাওয়ায় উড়ে যায়…