অবতক খবর,১৫ মার্চ: পানিহাটি তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে আটক আরও ৩। বারুইপুর থেকে ৩ জনকে পাকড়াও করল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। কাউন্সিলর খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র শ্যুটার অমিত পণ্ডিত কিনেছিল এই ৩ জনের কাছ থেকে। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ধৃত আততায়ী অমিত পণ্ডিত, দাবি পুলিশের।

উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে খুন তৃণমূল কাউন্সিলর। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতী। তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে গতকাল অমিত ওরফে শম্ভু পণ্ডিতকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যারাকপুর আদালত। গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে জানা যায় খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র কোথা থেকে কিনেছিল সে। এরপরই বারুইপুর থেকে ৩ জনকে আটক করে। তাদেরও জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের পর মেরেকেটে ২০০ মিটার দূরে আগরপাড়ার এই ঝোপের মধ্যে জামা পাল্টে লুকিয়ে ছিল দুষ্কৃতী। স্থানীয়রা টের পেয়ে ঝোপে আগুন লাগিয়ে দেন। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে জঙ্গল। আগুনের তাপে বাধ্য হয়ে বাইরে বেরিসে আসে অভিযুক্ত। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও ট্রেনের রিটার্ন টিকিট ও সিমকার্ড ছাড়া মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।

হত্যার নেপথ্যে কারা? কারা সুপারি কিলার দিয়ে খুন করাল? সুপারি কিলারের নেপথ্যে বড় মাথা?  বোর্ড গঠনের ঠিক মুখে কেন খুন হতে হল তৃণমূল কাউন্সিলরকে? খুনের নেপথ্যে কি রাজনীতির গভীর প্যাঁচ? বিশেষ কারোর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অনুপম দত্ত? গত ২দিন ধরে এই সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।  নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত গতকাল বলেন, “ভিতরের কেউ না থাকলে, এলাকার কেউ না থাকলে, এরকম ভাবে খুন হতে পারে না। লোকাল পুলিশ নয়, CBI-CID তদন্ত হোক।‘’