অবতক খবর: একশো দিনের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তর্জার মাঝে পাওনা গণ্ডা আদায়ে এবার বিজেপি সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । একুশের সভা মঞ্চ থেকে দিল্লির বুকে আন্দোলনের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরাজ্যেও বিজেপি নেতাদের ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। বললেন, ‘আগামী ৫ অগাস্ট, শনিবার, শান্তিপূর্ণভাবে এদের বাড়ি ঘেরাও করুন। বাড়ি থেকে ৮ ঘণ্টা, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা, শনিবার। বাড়িতে যদি বয়স্ক কেউ থাকে তাকে রাস্তা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু বিজেপির নেতা যে আছে, সে বাড়িতে ঢুকবেও না, বেরোবেও না।’

পরে এই কর্মসূচিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আংশিক বদল আনলেও অভিষেককে সরাসরি আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী । বললেন, এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ ডিম-ভাতের উৎসবে তার অহঙ্কার দম্ভ দেখুন,বলছে ৫ অগাস্ট ভারতীয় জনতা পার্টির ছোট থেকে বড় নেতাদের বাড়ি ঘিরবে …. ভাইপো শুনে রাখুন, আপনার বিরুদ্ধে এফআইআরে’র এর আবেদন নিয়ে আমরা কোর্টে যাচ্ছি। আপনি আমার মৌলিক অধিকার ২২৬, বাবা সাহেব অম্বেদকর দিয়ে গিয়েছেন, আমার বাড়িতে কে ঢুকবে , কে বেরোবে, একটা বিজেপি কর্মীর কাছে করে দেখুন, দিল্লিতে পার্লামেন্টে আপনাদের এমপিদের ঢুকতে দেব না। পরে পিসিমণি সংশোধন করেছেন। বলেছেন, না না না, একটু ভুল বলে ফেলেছেন। আমরা গ্রামে গ্রামে করব না, ব্লকে করব। ১০০ মিটার দূরে করব। এটাও বলতে পারেন না পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ‘

প্রসঙ্গত, অভিষেকের ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনা পরিবর্তন করে বলেন, ‘৫ অগাস্ট অভিষেক একটা প্রোগ্রাম করেছে। আমি বলব ব্লক ওয়াইজ করতে। একশো মিটার দূরে করবে। যাতে ঢুকতে বেরতে অসুবিধা না হয়। যাতে বলতে না পারে আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাকে ভাতে মারা যাবে না। বাংলা অনেক শক্তিশালী মনে রাখবেন । ‘২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিন দিল্লিতে কৃষি ভবনের বাইরে এদিন আন্দোলনের ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে।