অবতক খবর,৩ সেপ্টেম্বরঃ ‘পাশ করেনি স্ত্রী, সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা পেয়েছে’, বিস্ফোরক টেট অনুত্তীর্ণার স্বামী,চন্দন নামে একজনকে টাকা দিয়েছিল বলে শুনেছি। জানালেন টেট অনুত্তীর্ণ পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের স্বামী. সাড়ে ৭ লক্ষ টাকায় স্কুলের চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠল বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। টাকা দিয়ে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেন নদিয়ার কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে আমার স্ত্রী টেট দিয়েছিল। কিন্তু পাস করেনি। ২০১৫-য় ফের পরীক্ষা দেয়। ২০১৭-য় চাকরি পায়। আমার স্ত্রী সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা পেয়েছে। আমার টাকাও ছিল। চন্দন নামে একজনকে টাকা দিয়েছিল বলে শুনেছি। জানালেন টেট অনুত্তীর্ণ পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের স্বামী নদিয়ার কল্যাণীর বাসিন্দা জয়ন্ত বিশ্বাস।২০১৭-য় নদিয়ার হবিবপুরের পানপাড়ার রাঘবপুর কনভার্টেড জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পান কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখোপাধ্যায়।

তাঁর স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বাগদার মামা-ভাগিনা গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। সেই সূত্রে বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দনের সঙ্গে চেনা জানা। ২০১২-য় পরীক্ষায় বসলেও টেট পাস করতে পারেননি জয়ন্তর স্ত্রী পাপিয়া। জয়ন্তর দাবি, ২০১৫-য় চন্দনকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর, ২০১৭-য় চাকরি পান তাঁর স্ত্রী। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন পাপিয়া। তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে বহুদিন সম্পর্ক নেই। তিনি জানান, ‘ ২০১২ সালে ছেলে অসুস্থ হওয়ায় টেট দিইনি। ওই অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ২০১৪-য় পরীক্ষায় বসি। নিয়মানুযায়ী মোবাইলে এসএমএস আসে। নিয়ম মেনে ২০১৭-য় স্কুলে জয়েন করি। স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক নেই। একাধিক কোর্টে ৬-৭টি মামলা চলছে। উনি কাকে টাকা দিয়েছেন জানা নেই। নিয়োগ-বিতর্কে দাবি পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের।’

পাপিয়া নদিয়ার হবিবপুরের রাঘবপুর রূপান্তরিত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থশঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ৩১ অগাস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে আছেন পাপিয়া। তবে নিয়োগ-বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রধান শিক্ষক।