অবতক খবর,১ নভেম্বর: পুজোর প্রথম দিনেই ক্ষনিকের বৃষ্টিতে জলে কাঁদায় ভরেছে আনন্দ মেলা। এভাবে বৃষ্টি হলে লাটে উঠে যাবে ব্যবসা এমনটাই দাবী ব্যবসায়ীদের।ধূপগুড়ি এসটিএস ক্লাবের আনন্দ মেলায় এরকমই চিত্র ধরা পড়লো ক্যামেরায়। একাধিক অভিযোগ এলো ব্যবসায়ীদের।
তবে পরবর্তী দিনগুলোতে আদৌ হবে কি সেটার দিকেই তাকিয়ে ব্যবসায়ী থেকে মেলায় আসা সাধারণ মানুষরা ।অন্যান্য জায়গার মতোই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে আনন্দের সাথে ভক্তিভরে পালিত হচ্ছে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব।আর সেই পূজা উপলক্ষেই বিভিন্ন ক্লাবগুলো একাধিক থিমে সাজিয়ে তুলেছে তাদের পুজো মণ্ডপ গুলো।
একদিকে উদ্বোধনের দিন থেকেই বেশ ভিড় দেখা গিয়েছে পুজো মণ্ডপ গুলোতে।অন্যদিকে ধূপগুড়ির বিগ বাজেটের পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম ধূপগুড়ির এসটিএস ক্লাব।অন্যান্য বছরের মতোই এই বছরেও পুজো মণ্ডপের সাথে সাথেই ধূপগুড়ি ডাক বাংলো চত্বরে সেজে উঠেছে এক সুবিশাল আনন্দ মেলা।
তবে আগে থেকেই আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে বৃষ্টির পূর্বাভাস চিন্তা বাড়িয়েছিল ক্লাব কতৃপক্ষ ও সাধারণ মানুষকে।সেই চিন্তা আরও বৃদ্ধি পেলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এদিন সকাল থেকে প্রতিটি ক্লাব, প্রত্যেক বাড়িতে পূজার প্রস্তুতি থাকলেও সন্ধের পড়ে একাধিক এলাকায় নেমে আসে দুর্যোগ, শুরু হয় ব্যাপক বৃষ্টি। যার ফলে একদিকে প্ৰতিমা ও মণ্ডপ দেখতে আসা পূর্ণাথীরা সমস্যায় পড়েন অন্যদিকে ধূপগুড়ি এসটিএস ক্লাবের আনন্দ মেলার মাঠে জমে যায় জল, হয়ে যায় কাঁদা। যার কারণে বেশ ভোগান্তির স্বীকার হয় ব্যবসায়িরা।
দোকানের সামনে জল জমে যায়, কাঁদা ঠেলে যেতে হয় মেলায় আসা পূর্ণথীদের। মেলায় বসা বিভিন্ন দোকানদারেরা পসরা সাজিয়ে তুললেও খুলতে পারেননি দোকানের ঝাঁপ।একভাবে বলা যায় প্রায় অন্ধকারেই থেকে গেলো একাধিক মেলার গলি। যদিও প্রকৃতির কাছে আমরা পুতুল মাত্র। তবে এভাবেই ক্রমাগত বৃষ্টি হলে কি হবে মেলার বাকি দিনগুলোতে তা নিয়ে কি অভিযোগ শোনাবো আপনাদের।