বর্জ্যও অসামান্য হয়ে ওঠে ভোটে। নির্বাচনী উত্তাপে শিশু দরদ উথলে ওঠে। কত ঘটনা ঘটায় ভারতীয় নির্বাচন!
পোঁটা
তমাল সাহা
ভোট জীবনের বড় দায়!
প্রতিবার ভোট হয়
গ্রীষ্মের তান্ডবে রৌদ্রের প্রহরায়।
ভোটের সময় উনি উড়ান খোটলায়—
আমরা তাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে
উনি কখন মাটিতে পৌঁছায়!
সারি দিয়ে রাস্তার দুধারে আমরা।
আমাদের ঘিরে ফেলে
লম্বা লম্বা শালবল্লা— ব্যারিকেড।
উনি আমাদের জননেতা,আসবেন।
সামনে পিছনে কনভয়, তারও আগে
প্যারা মিলিটারি করে যায় প্যারেড।
উনিই আমাদের সব—
দাদা, দিদি, মাতা, পিতা।
উনি যা বলবেন,
তাতেই আমাদের মান্যতা।
নিরাপত্তা বলয় ভেঙে
উনি দৌড়ে ছুটে মিশে যান ভিড়ে।
দেখো! আমি তোমাদের,
তোমরা আমাকে ঘিরে।
হঠাৎ উনি দেখেন
দূরে দাঁড়িয়ে আদিবাসী মা,
কোলে একটি শিশু বাচ্চা।
ছিনিয়ে কোলে তুলে নেন—
বাছার শুকনো মুখ, এখনও খেতে দাওনি কিছু, তুমি কেমন মা গো! ঝুটা না সাচ্চা?
উনি নিজের রুমাল দিয়ে
মুছে দেন শিশুর নাকের পোঁটা।
তারপর মুখে মুখ লাগিয়ে খান হামি।
কবি তো নিন্দুক বড়!
লিখে যান শুধু নেতারা হারামি।
এবার উনি বলেন সোনা! কাঁদেনা, কাঁদেনা!
সবাই হতবাক, এমন জননেতা!
রূপসী বাংলা ছাড়া আর কোথাও পাবে না।
শিশুর নাকের পোঁটাও
ভোটে হয়ে ওঠে পণ্য !
দেখো! সংসদীয় গণতন্ত্রে
নেতাদের কত দিতে হয় শ্রম—
গদি ও মসনদের জন্য।
এই ভোটবাজি গণতন্ত্রে
নাকের পোঁটার কতো যে দাম!
কোথাও স্লোগান ওঠে—
জয় বিশালাক্ষীর জয়!
কোথাও জয় শ্রীরাম!