অবতক খবর , সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক এর সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে নিজের আত্মসম্মানের কথা মাথায় রেখে মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মেন্টর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন প্রণব বসু।
সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদের বড় বাবুর কাছে ইস্তফাপত্র খামবন্দী অবস্থায় জমা দিয়েছেন তিনি। ভাড়া করা গাড়িতে করে এসেছিলেন জেলা পরিষদ চত্বরে। সভাধিপতি বা জেলা পরিষদের সচিবের সাথে দেখা না করে তিনি সোজা চলে যান বড় বাবুর চেম্বারে।
সেখানে জেলা পরিষদের মেন্টর পদ থেকে ইস্তফা পত্র জমা দেন। প্রণব বসুর কথায়, এর আগে ১৮ই নভেম্বর মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয় সরকার। তাকে যে সরানো হচ্ছে ওই পদ থেকে তা আগাম কোন খবর তার কানে এসে পৌঁছায়নি।
তিনি পৌরসভা সূত্রে জানতে পারেন তাকে ওই পদে থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। সেই পদে বসানো হয়েছে খড়গপুর গ্রামীন এর বিধায়ক দীনেন রায়কে। এই ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কেন তাকে পৌর প্রশাসক এর সদস্য পদ থেকে সরানো হলো, কেন জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন।
প্রণব বসু বলেন, যেহেতু পৌরসভা থেকে না জানিয়ে সরানো হয়েছে তাই মেন্টর পদ থেকেও যেকোন মুহূর্তে সরে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। তাই অপমানিত না হতে চেয়ে নিজের থেকে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন। শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত প্রণব বসু। বিজয় সম্মেলনে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি।
সেই মঞ্চে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা-কল্পনা। প্রণবের কথায়, শুভেন্দু অধিকারী এখনো দলে রয়েছেন। তিনি তার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ঠিকই , কিন্তু দলের একজন কর্মী হিসেবে রয়েছেন। যেহেতু তিনি দলের কর্মী তাই তাকে নেতা হিসেবে মনে করি।
তিনি যতক্ষণ পর্যন্ত দল ছাড়ছেন না বা তাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না ততক্ষন পর্যন্ত তাকে নেতা হিসেবে মেনে চলবো। যেদিন তিনি অন্য কোথাও যাবেন তখন সেটা সেই সময় ভাবার বিষয়।