অবতক খবর,২৮ মে: গত পৌরসভা নির্বাচনে কামারহাটি পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মল রাইয়ের হয়ে কাজ করেছিলেন তৃণমূল কর্মী বাবলু ঠাকুর।নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাবলু আর দলের সাথে কোন যোগাযোগ না রেখে নিজের কাজ নিয়ে থাকতো। বাবলু ঠাকুর বেলঘড়িয়া টেক্সমেকো কারখানায় কর্মরত।
গতকাল রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে কাউন্সিলর নির্মলার অনুগামী ও তার দলবল বাবলু ঠাকুরের রাস্তা আটকে তাকে ঘিরে ধরে এবং তাকে তৃণমূল কংগ্রেসে আবার পুনরায় যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।বাবলু ঠাকুর সেই সময় বলে, আমি কোন দল করব না,আমি আমার কাজ নিয়েই থাকবো।তারপর কাউন্সিলরের অনুগামী টিল্লু সিং ও তার দলবল বাবলু ঠাকুরের উপরে চড়াও হয় এবং আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে তার সারা শরীরে মারধর করা হয়।
গোটা ঘটনার অভিযোগ বেলঘড়িয়া থানায় দায়ের করেছে বাবলু ঠাকুর।ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে বাবলু।বাবলু ঠাকুর ঘটনায় সরাসরি অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে কাউন্সিলর ও তার অনুগামীদের দিকে।তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর নির্মলা রাই। তিনি এও জানান, গতকাল রাতে শ্যামনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য তৃণমূল কর্মীরা ব্যানার লাগাচ্ছিল এলাকায় এবং সেই সময় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার কর্মীদের ওপরে হামলা চালায়।
সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার জানান, এই ঘটনাটি সম্পন্ন তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল,নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল ঢাকা দেওয়ার জন্য কাউন্সিলার সিপিএমের ওপর মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।আহত বাবলু ঠাকুর বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম অজয় ঠাকুরের কাকার ছেলে।বাবলুর অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের খোঁজার কাজে তল্লাশি শুরু করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ।এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ, এলাকায় ঘটনার পর থেকে রয়েছে চাপা উত্তেজনা।