অবতক খবর , মলয় দে, নদীয়া : নদীয়ার শান্তিপুরের নিষিদ্ধ পল্লীতে লকডাউন শুরু থেকেই প্রকৃতি বিলাশের সদস্যরা নিয়মিত খোঁজ রাখতেন যৌনকর্মীদের। সরকারি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানান বিধি-নিষেধ তাদের সরলীকরণ করে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
গোষ্ঠী সংক্রমনের কথা মাথায় রেখেই যৌনকর্মীরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন বেশ কিছুদিনের জন্য। কিন্তু রোজগার বন্ধ হলে খাবে কি! প্রকৃতি বিলাসের মহিলা সদস্যারা এগিয়ে এসেছিলো তাদের পাশে, সমাজের বিভিন্ন অংশের সুহৃদয় মানুষের, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় শুকনো খাদ্য দ্রব্য বিতরণ, কমিউনিটি কিচেন চালুর মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
আজ ওই এলাকার সমস্ত গলি ,রাস্তা, দোকান এমনকি বাড়ির যেখানে বহিরাগতদের সমাগম হয় সেই সব জায়গায় স্যানিটাইজ করা হয়। দমকল বিভাগের বড় গাড়ি গলির মধ্যে ঢুকবে না বলে ব্যাটারি চালিত স্প্রে মেশিন পিঠে জীবাণুনাশের প্রচেষ্টা করে। আগামীতেও লকডাউন থাকাকালীন ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে জানান সংগঠনের পক্ষ থেকে মোহর দে বিশ্বাস, গৌরি রায় নন্দী, মলয় প্রামাণিক রা, কৃষ্ণনগরের চিকিৎসক ডাঃ যতন রায় চৌধুরী এবং দ্বীপ রায় আজকের এই কর্মসূচির সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করে।