অবতক খবর,২৪ আগস্ট:প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস, প্রচুর সোনা নগদ অর্থ সহ প্রতারক গ্রেফতার, গ্রেফতার করল হরিয়ানা ও বসিরহাট পুলিশ।
অভিযুক্তকে আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে হরিয়ানা নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ।
রাজ্যসহ দেশব্যাপী প্রতারণা চক্র ছেয়ে গেছে,বড় প্রতারণা চক্র ফাঁস করল বসিরহাট পুলিশ জেলা।
বসিরহাট থানা থেকে ধলতিথা চন্দন মাইতি বলে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করল হরিয়ানা ও বসিরহাট পুলিশ জেলা পুলিশ আধিকারিকরা।
তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ৬০০ গ্রাম সোনা। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা।
গত একসপ্তাহ আগে হরিয়ানার বিলাসপুরের ব্যবসায়ী সমরেশ বেরার স্বর্ণের দোকানে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদনীপুরের বাসিন্দা চন্দন মাইতি স্বর্ণের কারিগরের কাজ করত।
মালিক ও কর্মচারী দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার সুবাধে দুজনের সম্পর্ক ছিল খুব কাছের, সেই সুবাদে মালিক বিশ্বাস করতেন কর্মচারীকে।
ব্যবসায়ী সমরেশ বেরার বিলাসপুরের বাড়ি ও দোকান রয়েছে ,সেখান থেকে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা,৬০০ গ্রাম সোনা নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে চলে আসে।
তারপর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট থানার ধলতিথা গ্রামে নাম ও পরিচয় আত্ম গোপন করে বসবাস করছিল অভিযুক্ত চন্দন মাইতি।
ঐ ব্যবসায়ী তার খোওয়া যাওয়া সোনা ও নগদ অর্থের বিষয় নিয়ে হরিয়ানার বিলাসপুর থানায় ওই স্বর্ণ কারিগর চন্দন মাইতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে বিলাসপুর থানার পুলিশ।
অভিযুক্ত চন্দন মাইতির ফোনের টাওয়ার লোকেশনে জানতে পারে সে বসিরহাটে আশ্রয় নিয়েছে।
তারপর বসিরহাট জেলা পুলিশকে বিস্তারিত জানায়।
গতকাল সোমবার গভীর রাতে বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিং এর নেতৃত্বে হরিয়ানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারক চন্দন মাইতিকে গ্রেপ্তার করে বসিরহাট ধলতিথা গ্রাম থেকে।
তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ঐ ব্যবসায়ীর খোয়া যাওয়া সোনার গহনা ও নগদ টাকা। ধৃত চন্দনকে আজ মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। হরিয়ানা পুলিশ তাকে ট্রানজিট রিমান্ডের নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারকের কাছে।