অবতক খবর: শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সফল বাস্তবায়নে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিল পশ্চিমবঙ্গ। স্বাভাবিক ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবাস যোজনায় কেন্দ্রের স্বীকৃতি পাওয়া কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেল শাসকদল।
আবাস যোজনার টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ রয়েছে রাজ্যের। কাগজপত্র ঠিকমতো নেই, এই যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। শনিবার এই স্বীকৃতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সবটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্য। ওঁর দেখানো পথে হেঁটেই এই সাফল্য এসেছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয়েছে। সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্পে সরাসরি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তাই দেশে মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আমরা।’ এই প্রকল্পে প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ বাংলার মতোই এই প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে। প্রশ্ন হল জনসংখ্যার বিচারে এবং পুরসভার সংখ্যায় বাংলার থেকে উত্তরপ্রদেশ এগিয়ে থাকলেও আবাস যোজনার টাকা শহরাঞ্চলে খরচ করতে পেরেছে পশ্চিবঙ্গের মতোই। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘আবাস যোজনার টাকা উত্তরপ্রদেশ বাংলার তুলনা বেশি পেলেও খরচ এগিয়ে আছি আমরাই। বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে নানা মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের এই পুরস্কার প্রমাণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে।’
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, ‘কেন্দ্র স্রেফ সস্তা রাজনীতির জন্য গ্রামীণ এলাকায় এই প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। প্রায় এক বছর টাকা বন্ধ। কেন্দ্রের একাধিক টিম এসেও দুর্নীতির অভিযোগের কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি।’ ফিরহাদের দাবি, গ্রামীণ এলাকাতেও স্বচ্ছতার সঙ্গে আবাস যোজনার কাজ হচ্ছে।
এ দিন রাজ্যের পুর ও নগরোন্ননমন্ত্রী প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা নিয়েও সরব হন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘জনগণের টাকা আটকে যে পাপ মোদী সরকার করছে তার জবাব দেবে জনগণ। পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে দুটোতেই জবাব পাবে বিজেপি ও নরেন্দ্রী মোদী।’জানা গিয়েছে, এই বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত শহরাঞ্চলে আবাস যোজনায় ৮৪৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের পুর এলাকায় উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৫০০ কোটি টাকার বেশি জমা পড়েছে। একে সাফল্য হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র।