অবতক খবর,২৯ জুন,সনৎ বর্মন,কোচবিহারঃ ভোট আসে ভোট যায় শুধু প্রতিশ্রুতি বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না বলে অভিযোগ করলো মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের লতাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গুমানি হাট ২/৪৮ নং বুথ কিষাণ মান্ডি সংলগ্ন দাসপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা। সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার দরুন এলাকার ১৬ টি পরিবার দোলং নদীর বাঁধ লাগোয়া অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তাদের জল বন্দি অবস্থায় দিন কাটছে।
যাতায়াতের খুবই অসুবিধা কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় ও বিষাক্ত সাপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এক হাঁটুর উপর জল দিয়ে তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোন খোঁজ খবর রাখেন না স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শাসক ও বিরোধী পক্ষ ই কেউ খবর নেয় না বলে দাবি করেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল দাস বলেন,আমাদের করুণ অবস্থার মধ্যে দিন কাটতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে বাঁধ নির্মাণের আর্জি জানাচ্ছি। ও কল্পনা দাস বলেন ভোট আসে ভোট যায় আমাদের দরিদ্র পরিবার অসহায় অবস্থায় থাকে শুধু আশ্বাস ছাড়া আমরা আর কিছুই পাইনা বলে অভিযোগ। কিষাণ মান্ডি নাম করে তাদের অন্যত্র এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাস করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান কিষাণ মান্ডি তৈরি হয়ে তাদের কোনো লাভ হয়নি বরং তাদের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পরিবারগুলো। কিষাণ মান্ডি আজ জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছে।
তাদের একটাই দাবি অবিলম্বে নতুনভাবে বোল্ডার পাথরসহ নতুনভাবে বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানান। এ বিষয়ে এই বাঁধের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে স্থানীয় লতাপোতা অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আনন্দ বর্মন বলেন, অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। যেহেতু এখন বর্ষাকাল তাই কাজ এখন স্থগিত রয়েছে। পরিবারের পাশে সব সময় আছে আমাদের দল এবং প্রশাসন আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
স্থানীয় লতাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তাপস বর্মন বলেন, অনেকবার প্রধান উপপ্রধানকে জানিয়ে ও কোন লাভ হচ্ছে না যেহেতু আমি বিরোধী পঞ্চায়েত বলে অভিযোগ করেন।
তবে যা-কিছুই হোক এইভাবে মানুষের অসহায় অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না ভারত বর্ষ স্বাধীন হলো অনেক বছর হলো কিন্তু এখনো সাধারণ মানুষের এই অসহায় অবস্থায় আর কত দিন দিন কাটবে তাদের।