অবতক খবর,২৫ ফেব্রুয়ারী: প্রেমিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে জলপাইগুড়ি বেলাকোবা শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানাশগুড়ির এক যুবক! অতঃপর সেই প্রেমিকা তথা স্ত্রীর জন্য জীবন ত‍্যাগ করল সে। রবিবার রাতেই ফেসবুক লাইভের পর সেই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি বেলাকোবা ফাড়িঁর পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত যুবকের নাম সঞ্জয় রায়। দীর্ঘ আট বছর আগে সমিতা রায়ের সাথে তার ভালোবেসে বিবাহ হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংসারও করেছিল। তবে স্ত্রীর সাথে অশান্তি হওয়ায় দুর্গো পুজোর সময় সঞ্জয় কে ছেড়ে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। যার পর থেকে তাদের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ নেই।

এরপর গতকাল রাতে ভাত খাওয়ার পর ৮ টার সময় আচমকাই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করে সঞ্জয়। যেখানে স্ত্রীর প্রতি তার ভালোবাসা, মান – অভিমান ব‍্যাক্ত করে। পাশাপাশি সঞ্জয় যে এই পৃথিবী ছেড়ে চিরকালের মতো বিদায় নেবে সেই কথাও লাইভে বলেন। আর পরেই রাতে বাড়ির পাশে এক গাছের ডালে সঞ্জয়কে গলায় ফাস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার পরিবারের লোকজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় সঞ্জয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় জলপাইগুড়ি বেলাকোবা ফাড়িঁর পুলিশ। ওসি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

সঞ্জয়ের আত্মীয় থেকে পাড়া প্রতিবেশিরা স্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত অভিমানের জন্য এই ঘটনা সঞ্জয় ঘটিয়েছে বলে জানাচ্ছেন। যদিও সঞ্জয়ের মা ছেলের মৃত্যুর জন্য তার পুত্রবধূকেই দায়ী করছে। অন‍্যদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে শশুরবাড়িতে পৌছায় সঞ্জয়ের স্ত্রী। তার পরিস্কার বক্তব্য, এই ঘটনা ঘটবে তা আমি জানতাম না। তবে পরিবারে মারধর করা হত বলেই শশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে বলে অভিযোগ।