অবতক খবর,নিজেস্ব প্রতিবেদন,৩ নভেম্বর : বদলাচ্ছে টেট পরীক্ষার মাপকাঠি। টেট পাশের নম্বরে বদল। ফলে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক অসফল প্রার্থী নতুন করে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা।ফলে মেধা তালিকায় বিপুল বদলের সম্ভাবনা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নয়া নির্দেশে ফের আশার আলো চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। ২০১৭ ও ২০১৪ সালের টেট মামলার শুনানিতে, সংরক্ষিত আসনে টেট পাশের ক্ষেত্রে এক নাম্বার কমানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সর্বভারতীয় মাপকাঠি ও টেট-এর মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এই নয়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর ফলে মেধাতালিকায় ফের বড় বদল আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, NCTE-এর নিয়ম অনুযায়ী সারা দেশে টেট-এ ৮২ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়। সেখানে এরাজ্যে এতদিন ৮৩ পেলে তবে পাশ করানো হত। এই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন ২০১৭ ও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। সমস্ত দলিল বিচার করে সর্বভারতীয় নিয়ম অনুসারেই টেট-এর মাপকাঠি ঠিক করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।২০১৪ সালের নিয়োগ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন। তবে ২০১৭ সালে টেট পাশ প্রার্থীরা ২০২২ সালের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতেও অংশ নিচ্ছেন। এই অবস্থায় টেট পাশের মাপকাঠি বদলালে আরও অনেক অনুত্তীর্ণ প্রার্থী উত্তীর্ণ বলে নতুন করে বিবেচিত হবেন। ফের মেধাতালিকায় আসতে পারে বড়সড় বদল। আবারও নতুন করে জটিলতার আশঙ্কায় শিক্ষামহল।