অবতক খবর,২ জানুয়ারি : নিয়োগ-মামলায় দীর্ঘ লড়াইয়ের পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিটি তিনি পেয়েছিলেন। সেই চাকরির ‘বৈধতা’ নিয়েই প্রশ্ন ওঠায় নিজেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ববিতা সরকার।

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার পরেই ববিতা জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনবেন। সেই মতোই সোমবার হাই কোর্টে গেলেন স্কুলশিক্ষিকা। আদালত সূত্রে খবর, তাঁর আবেদন গ্রহণও করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি নির্দেশ দেন, ববিতার আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলায় এসএসসি-কে যুক্ত করতে হবে। আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, চাকরিপ্রার্থীদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতকস্তর-সহ সব পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা (এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন)-র উপর কিছু নম্বর ধার্য করা হয়। যাকে ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বলা হয়। আবেদনপত্রে ‘ভুল’ তথ্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই তালিকায় ববিতার পিছনে থাকা অনামিকা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী জানান, অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তা হলে ওই চাকরিটি আসলে তাঁর পাওয়ার কথা।

সেই সময় ববিতাও বলেন, ‘‘বিষয়টি যাতে বিচারপতির নজরে আনা হয়, তার জন্য বলেছি আমাদের আইনজীবীকে। আমার লড়াইটা এসএসসি কমিশনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে। অতীতেও লড়েছি, আগামী দিনেও লড়ব। কোর্ট যা নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ীই সব হবে।’’